ধূপগুড়ি: ছাত্রদের মধ্যে বই বিতরণ করা শিক্ষকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়াল স্কুলে। ধূপগুড়ি ব্লকের কালীরহাট দেওয়ান চন্দ্র হাইস্কুলের ঘটনা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ অধিকারী স্কুলের সহকারী শিক্ষকের করোনা পজিটিভের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি স্কুলের এক সহকারি শিক্ষক একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বই বিতরণ করেন। এরই মধ্যে ওই শিক্ষকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক উত্তর দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা। তবে তিনি ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকায় ভাড়া থাকেন। ওই বাড়ির অপর একজনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপরই ওই শিক্ষক লালা পরীক্ষা করান এবং তারও পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপরই বই বিতরণের সময় শিক্ষকের সংস্পর্শে ছাত্ররা এসেছিলেন কিনা, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এমনকি এলাকায়ও যথেষ্ট আতঙ্কও ছড়িয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ অধিকারী আরও বলেন, প্রায় ৯৫ শতাংশ বই বিতরণ হয়েছে। কিছু সংখ্যক বই বিতরণ হয়নি। এবারে এক শিক্ষকের করোনা পজিটিভ ধরা পরতেই অনেকের মধ্যেই সন্দেহ তৈরি হতে পারে। সেই জন্যে স্কুলকে ১৫ দিন কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা যায় কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে ধূপগুড়িতে গ্রামাঞ্চলের সংক্রামিত এলাকাতেও স্যানিটাইজ করার উদ্যোগ নিল ব্লক প্রশাসন।ধূপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাস বলেন, সবকটি কনটেনমেন্ট জোনই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। আগামীতেও আরও কনটেনমেন্ট জোন হলে, সেগুলিতেও তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।