নাগরাকাটা: ঐতিহ্যশালী ঝালং কালীবাড়ির (Jhalang Kalibari) চুরিকাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ৪-৫ জন ওই চুরি কাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুলাই ঝালং কালী বাড়ির দুটো তালা ভেঙে একাধিক দুষ্কৃতী ভেতরে ঢোকে। মন্দিরের স্টোর রুমের তালাও ভেঙে ফেলে তারা। এরপর নজর পড়ে একটি বড় আকারের ট্রাঙ্কে। সেটির মধ্যেই পেতল, তামা ও কাঁসার নানা জিনিসপত্র রাখা ছিল। সবগুলিই সামগ্রী মন্দির স্থাপিত হওয়ার সময়কাল ১৯৫৯ সালের। প্রায় দুশো কিলোগ্রাম ওজনের ওই সমস্ত অ্যান্টিক সামগ্রী হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরদিন সকালে মন্দির কমিটির নজরে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপরই জলঢাকা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওসি প্রজ্জ্বলরাজ জ্যোশি প্রধান ও এসআই হৃবম লেপচা ও এসআই সিবি ভুজেলের নের্তৃত্ব পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে চুরির মালপত্র চালসায় ভাঙাচোরা সামগ্রীর ব্যবসা করেন এমন একজনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এরপর পুলিশ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। গত শনিবার রাতেও বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। ঝালং কালীবাড়ি কমিটির সভাপতি সম্পৎ আগরওয়ালা বলেন, প্রায় দেড় লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরি গিয়েছিল। টাকার অঙ্কের থেকেও ওই সব পুরোনো সামগ্রীর ঐতিহ্যগত মূল্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশি ভূমিকায় আমরা সন্তুষ্ট। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: Rhino attack in Nagarkata | গণ্ডারের আক্রমণে জখম প্রৌঢ়