কলকাতাঃ লকডাউনকে উপেক্ষা করেই মহানগরীর রাস্তায় মানুষের আনাগোনা। এর বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। কাউকে বাইরে দেখা গেলে লাঠিপেটা করে বাড়ি ফেরত পাঠাচ্ছে পুলিশ। কোথাও আবার কাউকে কান ধরে উঠবস করিয়ে বাড়িমুখী করানো হচ্ছে। তবুও কমছে না মানুষের আনাগোনা।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার কলকাতার রাস্তায় চোখে পড়েছে মানুষের ভিড়। সায়েন্সসিটি, গুরুসদয় রোড, পার্কসার্কাস, শিয়ালদা, শ্যামবাজার চত্বরে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহিষবাথান, দেগঙ্গায় অতি উৎসাহী মানুষের সরাতে পুলিশকে বল প্রয়োগ করতে দেখা গিয়েছে। তবে কার্যত জনশূন্য ছিল তথ্যপ্রযুক্তিনগর বলে পরিচিত সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। হাওড়া স্টেশন চত্বরে বেশকিছু মানুষ থাকলেও জেলা পুলিশ রেলওয়ে পুলিশের সহায়তায় কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করে। হুগলি সেতু ছিল জনমানবশূন্য। মাঝে মাঝে দু-একটা অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের গাড়ি ও সরকারি বাসকে পারাপার হতে দেখা যায়। কলকাতা পুলিশের তরফে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছে। তার জেরে যানবাহনের গতিও বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে।
উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়া ও সোদপুর অঞ্চলে বেশকিছু চায়ের দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়। দোকানে জমিয়ে আড্ডাও চোখে পড়ে। পুলিশ চায়ের দোকান বন্ধ করার অনুরোধ করলেও তাতে কান দেয়নি দোকানদার ও সাধারণ মানুষ। পুলিশ সেই দোকানগুলির গ্যাস সিলিন্ডার ও নানা সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে ও জনতাকে বলপ্রয়োগ করে হটিয়ে দেয়।
এদিন রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গতকাল লকডাউন শুরুর পর থেকেই রাস্তায় নেমেছে পুলিশ। প্রথমে তারা রাস্তায় নামা মানুষদের বুঝিয়েছেন। তাতে কাজ না হওয়ায় গতকাল সন্ধ্যে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাজ্যে ২৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা প্রয়োগ করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অহেতুক রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের সতর্ক করতে। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে বাড়িমুখো করতে। তাতে কিছুটা হলেও সফল হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।