বর্ধমান: পাচার হওয়ার আগেই বনবিভাগের অভিযানে ৭৫০ টি টিয়া ও ১৬ টি পাহাড়ি ময়না পাখি বোঝাই একটি ক্যান্টার। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বর্ধমান বনবিভাগ অভিযান চালিয়ে সমস্ত পাখিগুলিকে উদ্ধার করেছে।
জানা গিয়েছে, পাখি পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মহম্মদ মেহেরা ও শেখ সাবেদ আলি নামে দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত দু’জনেরই বাড়ি বর্ধমানের দুবরাজদিঘি এলাকায়। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বুধবার দুই ধৃতকেই পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে।
বর্ধমানের বন আধিকারিক (ডিএফও) দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন, একটি ক্যান্টার করে ৭টি খাঁচায় পাখিগুলি পাচার করা হচ্ছিল। ক্যান্টারে বোঝাই করে পাখিগুলি ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ থেকে গলসি হয়ে বর্ধমানে নিয়ে আসা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর বনবিভাগের কাছে পৌছায়।
দেবাশীষ শর্মা জানান, এই খবর পাওয়ার পরেই এদিন সকাল থেকে বনকর্মীরা ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ওতপেতে বসে থাকেন। তখনই বনকমীরা দেখতে পান ক্যান্টারে করে বর্ধমানের দিকে পাখিগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জাতীয় সড়কে গলসিতে গাড়ি বদলের সময়ে বনবিভাগের কর্মীরা পাখি পাচারের ঘটনায় জড়িত মহম্মদ মেহেরা ও সেখ সাবেদ আলিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। উদ্ধার হয় ৭৫০ টি টিয়া ও ১৬ টি পাহাড়ি ময়না পাখি। উদ্ধারের সময়ে কয়েকটি টিয়া ও ময়না মারা যায়।
এদিন দেবাশীষ বাবু আরও জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ পেলে পাখিগুলি বর্ধমানের রমনার বাগান অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, ধরা পরার পর ধৃত মহম্মদ মেহেরা জানান, গাড়ি করে পাখি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা তিনি জানতেন না। পাশাপাশি, অপর ধৃত শেখ সাবেদ আলি জানান, তিনি বদ্রী পাখির ব্যবসা করেন। হাজারিবাগ থেকে তিনি পাখিগুলি নিয়ে আসছিলেন। যাদের কাছ থেকে ওই পাখিগুলি নিয়েছিলেন তাঁরা তাঁকে বলেছিল পাখি নিয়ে যাওয়া বেআইনি নয়।