গয়েরকাটা: করোনা সংক্রমন থেকে মানুষকে বাঁচাতে দেশ জুড়ে প্রতিনয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ, ডাক্তার থেকে শুরু করে জরুরী পরিষেবার কর্মীরা। উলটো দিকে, নিজেদের ভালো না বুঝেই লকডাউন উপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষকে। তবে গয়েরকাটার এক প্রাথমিক শিক্ষক এই দুর্দিনের সময়ে প্রশাসনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানো থেকে মানুষকে সচেতন করা সবটাতেই হাত লাগিয়েছেন তিনি। এই কাজের জন্য স্থানীয়দের প্রশংসার কেন্দ্রে চা বাগান এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা স্থানীয় বাসিন্দা দীপক সেনগুপ্ত।
লকডাউনের প্রথম থেকেই প্রশাসনের ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে গয়েরকাটা হাটে মানুষের জমায়েত এড়ানো, হাট ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানো, দোকানের সামনে বৃত্ত আঁকা, গনবন্টনের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ, তারা যাতে নির্ধারিত সামগ্রী পান তা নিশ্চিত করা, গ্রামপঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে বসে ফুড কুপন বিতরনের ব্যবস্থা করা, অনাহারে অর্ধাহারে যারা ভুগছেন তাদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া, এলাকায় জীবানুনাশক স্প্রে করা ইত্যাদি নানা ধরনের কাজ করতে দেখা গিয়েছে।
নিজে থেকেই নানা ধরনের কাজ করে এলাকাবাসীর কুর্নিশও পেয়েছেন তিনি। সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ ওঁরাও বলেন, ’লকডাউন শুরুর প্রথম দিন থেকেই দীপকবাবু প্রশাসনকে যথেষ্ট সাহায্য করে চলেছেন। ওনার মত মানুষদের আমরা কুর্নিশ জানাই।’ দীপকবাবু জানান, ‘একজন শিক্ষক সমাজকে দিশা দেখায়। আমিও ডুয়ার্সের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রেড ব্যাংক চা বাগানে শিক্ষকতা করে আসছি। তাই দুঃসময় কি তা আমি জানি। তাই চেষ্টা করছি প্রশাসনকে সাহায্য করার। আরও মানুষ এগিয়ে আসলে খুশি হব।’