হেমতাবাদ: বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্তে গতি এল। গতকাল পার্সেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক প্রৌঢ়াকে আটক করল জেলা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও হেমতাবাদ থানার পুলিশ। ওই মহিলার নাম চেনবানু বেওয়া বাড়ি হেমতাবাদের নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ ওই প্রৌঢ়াকে আটক করে হেমতাবাদ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয়েছে ম্যারাথন জেরা। এছাড়াও তদন্তের স্বার্থে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বিষ্টু রায়, সঞ্জীব ঘোষ, আসরাফ চৌধুরীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অন্য়দিকে, এদিন বিকেল নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান উত্তরবঙ্গের আইজি ডি কে সিং, ডিআইজি অনুপ জাসওয়াল, পুলিশ সুপার মহন্মদ সানা আকতার সহ জেলা পুলিশের কর্তারা। পরিদর্শন শেষে উত্তরবঙ্গের আইজি জানান, একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
গতকালের ঘটনার পর তদন্তের স্বার্থে এদিন সকাল থেকেই হেমতাবাদের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বাহারাইল বাজার এলাকায় একের পর এক জেলা পুলিশের কর্তারা পরিদর্শনে যান। পৌঁছোয় সিআইডি ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের বিশেষ দল। সংগ্রহ করা হয় নমুনা। পাশাপাশি তিন জখমের বাড়িতে পৌঁছে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। তবে ওই পার্সেল ব্যাগে কি ধরনের বোমা ছিল তা নিয়ে এখনই স্পষ্ট কোনও মন্তব্য করতে নারাজ পুলিশের কর্তা ও ফরেনন্সিক দল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ও গোয়ান্দাদের অনুমান, পুরোনো কোনও শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।