বর্ধমান: পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিন তুহিনা খাতুনের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে আসরে নামল কংগ্রেস। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি মৃতার বাড়িতে যান। অধীরবাবুর সঙ্গে ছিলেন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের সভাপতি সহ অন্য নেতারা। এদিন অধীরবাবু নিহত তরুণীর বাড়ি যান। সেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন অধীরবাবু। তিনি জানান, পরিবারটির কোনওরকম আইনি সহায়তা দরকার হলে তাঁরা পাশে থাকবেন। প্রয়োজনে উচ্চ আদালতেও যাওয়া হবে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীরবাবু বলেন, ‘এটা রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের বাংলা। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। সেখানে এরকম একটি ঘটনা খুবই লজ্জার।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় একজন সংখ্যালঘু ঘরের মেয়ের মর্যাদা নিয়ে কুরুচিকর আচরণ করা হয়েছে। মেয়েদের গলায় দড়ি পড়ানোর ছবি এঁকে দেওয়া হয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা এমন কাজ করে তারা কি তার দলের লোক?’ অধীরবাবু বলেন, ‘এমন কি মেয়েটির মৃত্যুর পরও তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। গোটা রাজ্যে মহিলা ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে।’
বর্ধমান পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ মসজিদ সংলগ্ন নতুনপল্লি এলাকায় পুরভোটের ফল ঘোষণার পর বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে তুহিনার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় নবনির্বাচিত ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বসির আহমেদের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন : ইছাপুরে বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু