হরিশ্চন্দ্রপুর: উত্তরবঙ্গ সংবাদের খবরের জেরে অবশেষে নড়েচড়ে বসল হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল, হরিশ্চন্দ্রপুর(Harishchandrapur) ২ নম্বর ব্লক এলাকায় ফুলহরের শাখা নদী হিসেবে পরিচিত কালকোষ নদীতে মাটি ফেলে ভরাট করে তার ওপরে চাষ করা হচ্ছে মৌসুমী ফসল। পাশাপাশি এও অভিযোগ ছিল, মাটি ভরাট করে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার এই নদীকে প্লট করে বিক্রিও করে দেওয়া হচ্ছে বেনামে। নদীর পরিধি ক্রমে কমে আসছে। এলাকায় এর পেছনে বিশাল বড় চক্র গজিয়ে উঠেছে। স্থানীয় বিরোধী দলের অভিযোগ ছিল, এর পেছনে শাসকদলের কিছু নেতার মদত রয়েছে। এরপরই উত্তরবঙ্গ সংবাদে ৮ নভেম্বর এই নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারপরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তদন্তে নামে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসে নদীর ওই এলাকা বারদুয়ারি ইউনিয়ন বোর্ড এবং পঞ্চায়েতের। এরপরই নড়েচড়ে বসে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এবং ব্লক প্রশাসন। সোমবার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, হরিশ্চন্দ্রপুর ২-এর বিডিও এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসির নেতৃত্বে আধিকারিকদের একটি দল সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষন্তা মৌজা এলাকায় রাঘবপুর রেল ব্রিজের নীচে পৌঁছোয়। মূলত এই এলাকাতেই নদী ভরাট করা নিয়ে প্রধান অভিযোগ ওঠে।
এদিন প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে আর্থমুভার দিয়ে নদীর ভরাট করা মাটি কেটে ফেলা হয়। ওই এলাকায় নিরাপত্তার জন্য বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এই ঘটনা প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ২-এর বিডিও বিজয় গিরি বলেন, ‘খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই আমরা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরকে নিয়ে তদন্তে নামি। দেখা যায়, ওই এলাকার জমি সরকারি যেটি বারদুয়ারি ইউনিয়ন বোর্ডের নামে রেকর্ড আছে এবং সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন। আজ ওই নদীর বুক ভরাট হয়ে যাওয়া মাটিগুলিকে আমরা মেশিন দিয়ে উঠিয়ে ফেলে দিয়েছি। পরবর্তীতে এধরনের ঘটনা না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে।’
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুরজিৎ দাস বলেন, ‘আমরা ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছিলাম। আজ আইন মোতাবেক ব্যবস্থা করা হল। নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এধরনের কাজ যদি ভবিষ্যতে ঘটে তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুনঃ আগরতলা থেকে ডোরাডাবরি সীমান্তে পৌঁছোল বিএসএফের সাইকেল র্যালি