দিনহাটা : করোনা মোকাবিলায় গোটা দেশে চলছে লকডাউন। আর লকডাউনের জেরে দিনহাটা শহরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। অপরদিকে, মে মাসেই পুরসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। কিন্তু করোনার জেরে এই সময়ে মধ্যে পুর নির্বাচন হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
নিয়ম অনুয়ায়ী, পুরসভার মেয়াদ শেষে সেখানে বসানো হবে প্রশাসককে। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া কাজকর্ম কীভাবে নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে তা নিয়ে তৃণমূলের হাতে থাকা পুরসভার কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে বাসিন্দারাও উদ্বিগ্ন। যদিও কাজ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে পুরপ্রধান উদয়ন গুহ বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। তাঁর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, রাজ্য সরকার যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবেই কাজ করবো।
কোচবিহার জেলার গুরত্বপূর্ণ পুরসভা দিনহাটা। শহরের ১৬টি ওয়ার্ডে প্রায় ১৫ হাজার বাড়ি রয়েছে। জনসংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। গত কয়েক বছরে শহরে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। গ্রিন সিটি প্রকল্পে শহরে একাধিক দিঘিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো ম্যাস্টিক করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে হাইমাস্ট লাগানো হয়েছে। হাউজিং ফর অল প্রকল্পে প্রায় হাজার খানেক বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। পুরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আরও রাস্তা ও নিকাশিনালা সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড। বেশ কিছু কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। যে গতিতে কাজ এগোচ্ছিল, তাতে পুর নির্বাচনের আগে সেইসব কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সবকিছু ওলটপালট করে দিল করোনা সংক্রমণ।
মে মাসে পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রশাসক বসানো ছাড়া আর কোনও রাস্তা থাকবে না রাজ্য সরকারের কাছে। আর প্রশাসক বসে গেলে অর্ধসমাপ্ত হয়ে থাকা শহরের উন্নয়নমূলক কাজের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, আলিপুরদুয়ার সহ একাধিক পুরসভায় প্রশাসক বসানো রয়েছে। সেখানে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। এক্ষেত্রেও হবে। তবে চেয়ারম্যান থাকলে যতটা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা যায়, প্রশাসক থাকলে তত তাড়াতাড়ি সম্ভব হবে না বলেই অভিমত পুরকর্তাদের।