রায়গঞ্জঃ দীর্ঘ ১১ বছর ধরে দেবীনগর গয়লাল গার্লস হাই স্কুলে অস্থায়ী কম্পিউটার শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করছেন ডলি দত্ত। মঙ্গলবার স্কুলে এসে তিনি জানতে পারেন আর চাকরি নেই তার। একটি বেসরকারি কোম্পানি তার জায়গায় আরেক শিক্ষিকাকে নিয়োগ পত্র দিয়েছেন। তিনি তা মেনে নিতে না পেরে এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে স্কুল গেটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। নতুন শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢোকার আগেই তাকে গেটে আটকে দেওয়া হয়।
রায়গঞ্জ (Raiganj) কলেজপাড়ার বাসিন্দা ডলি দত্ত স্থানীয় দেবীনগর গয়লাল গার্লস হাই স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষিকা হিসাবে কাজে যোগ দেন ২০১১ সালের ২ মে। তার দাবি, স্কুল আমাকে সহযোগিতা করেছে। প্রধানশিক্ষিকা ওই বেসরকারি কোম্পানিকে জানিয়ে দিয়েছিল তাদের একজন শিক্ষিকা আছেন। তাই তাকেই নিয়োগপত্র দিতে হবে। কিন্তু সেই কোম্পানি স্কুলের আবেদনে সাড়া না দিয়ে নতুন একজনকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন তার প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকেরা। এদিন স্কুলের গেটের সামনে তীব্র বিক্ষোভ দেখায়। স্কুলের নব নিযুক্ত কম্পিউটার শিক্ষিকা হৈমন্তী রায়চৌধুরীকে স্থানীয়রা স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয়।
প্রাক্তন শিক্ষিকা ডলি দত্ত জানান, ২০১১ সাল থেকে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর এখানে শিক্ষকতা করছি। আজ আমাকে বিনা অজুহাতে তাড়িয়ে দেবে তা হতে পারে না। স্কুল থেকে ৪ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পাই। তা দিয়ে পরিবার চলে। স্বামী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে যে টাকা পায় তা দিয়ে চলে না। আমার চাকরি চলে গেলে পরিবার ডুবে যাবে। গত ২০ মার্চ আইসিটি প্রজেক্টে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। কোম্পানি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আমাকে এই স্কুলে নিয়োগপত্র দেবে। কিন্তু নতুন একজনকে নিয়োগপত্র দিয়েছে কোম্পানি। আমি নিয়োগপত্র না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
নব নিযুক্ত শিক্ষিকা হৈমন্তী রায়চৌধুরী জানান, তিনি বিগত কুড়ি মার্চ আইসিটি প্রজেক্টে যে পরীক্ষা নেওয়া হয় তাতে তিনি সফলভাবে উত্তীর্ণ হন এবং নিয়োগপত্র পান। কিন্তু আজ কাজে যোগদান করতে এসে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। কোম্পানি আমাকে যে স্কুলে নিয়োগসহ দেবে সেখানে যাবো।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ভাস্বতী বসু বিশ্বাস জানান, নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার জন্য স্কুল কোনভাবেই দায়ী নয়। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
আরও পড়ুন : বৌমাকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর! ৪ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা রায়গঞ্জ আদালতের