চ্যাংরাবান্ধা: ট্রাক মালিক সমিতির সভাকে কেন্দ্র করে বুধবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থল বন্দরে। বৈঠককে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোলও বেঁধে যায় এমনকি চেয়ার ছোড়াছুড়ির অভিযোগও ওঠে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওইসময় অনেকে সভাকক্ষ থেকে সরেও পড়েন। ট্রাক মালিক সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মালিক সমিতির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে আন্দোলনে নেমেছেন তাদেরই একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও মালিক সমিতির বর্তমান কমিটির সদস্যরা পদ আকড়ে রয়েছেন। কয়েক কোটি টাকার হিসেব বকেয়া রয়েছে। দ্রুত সমস্ত হিসেব বুঝিয়ে দেওয়া এবং ভোটের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি তাঁরা করেন। এরপরই মালিক সমিতির তরফে বুধবার চ্যাংরাবান্ধায় অতিথি নিবাসে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে বিভিন্ন ট্রাক মালিক উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে হিসেব প্রদান করে পুনরায় আব্দুল সামাদকে ট্রাক মালিক সমিতির সম্পাদক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু এনিয়ে আপত্তি তুলে এদিনই আইনের দারস্থ হলেন ক্ষুব্ধ ট্রাক মালিকরা। এদিনের বৈঠক এবং নতুন কমিটিকে তাঁরা অবৈধ বলে দাবি করে মেখলিগঞ্জ ব্লকের বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ট্রাক মালিক সমিতির সম্পাদক আব্দুল সামাদ অবশ্য বলেন, ‘ট্রাক মালিক সমিতির বর্তমান কমিটি মানুষের জন্য প্রচুর কাজ করে চলেছেন। এটাকে অনেকে সহ্য করতে না পেরে মিথ্যে অভিযোগ এনে আমাদের নামে বদনাম করার চেষ্টা করছেন। এদিন সভা ডেকে সমস্ত হিসেবও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত সকলে সেটা মেনেও নিয়েছেন। সমিতির সদস্যরা ফের আমাকে সম্পাদক নির্বাচিত করেছেন। সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমি মানুষের স্বার্থেই কাজ করে যেতে চাই।‘
এদিকে ট্রাক বাঁচাও কমিটি গড়ে আন্দোলনে নামা গৌতম সরকার, লিটন হক, চিত্ত গোপাল মণ্ডল প্রমুখের কথায়, ‘নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সাধারণ সভা করা হয়নি। এদিন কয়েক মিনিটেই কয়েক কোটি টাকার হিসেব দেওয়া হয়েছে। হিসেবের কোনও জিএসটি বিল দেখানো হয়নি। এনিয়ে আমাদের মতো সাধারণ সদস্যরা কিছু বলতে চাইলে বলতে দেওয়া হয়নি। বরং সেই সময় সভাস্থলেই আমাদের লক্ষ্য করে কিছু মানুষ চেয়ার ছুড়ে মারে। নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন তাই আমরা প্রাণের ভয়ে সভা থেকে বেরিয়ে আসি। কিছুক্ষণ পর শুনতে পাই কমিটি গঠন হয়ে গিয়েছে।‘