আসানসোল: নিজের বিধানসভা এলাকায় রবিবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Pal)। বিদ্যুৎহীন গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ তদারকি করতে গিয়েই গ্রামবাসীদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার নামো জামডোবা আদিবাসী গ্রামে। স্বাধীনতার পর থেকে এই গ্রাম ছিল বিদ্যুৎহীন। এদিন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের দাবি, তিনি বিধায়ক হওয়ার পরে গত এক বছরে উদ্যোগ নিয়ে এই আদিবাসী গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন। সেখানে এখন বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলছে। রবিবার সকাল থেকে বিধায়ক সেই কাজ তদারকি করছিলেন। গ্রামের উপর পাড়ায় যেতেই গ্রামবাসীদের একাংশ অগ্নিমিত্রা পালকে দেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে বিধায়কের কোনও হাত নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছে এই বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমানে রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাউন্সিলারের উদ্যোগে।
অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘৩৪ বছরের শাসনকালে বামফ্রন্ট সরকার ও তারপর গত ১১ বছরে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এই আদিবাসী গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের কোনও ব্যবস্থা করেনি। আমি এক বছর হল বিধায়ক হয়েছি। আর বিধায়ক হওয়ার পরেই এই কাজটির ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলাম।’ তবুও দেখা যায়, গ্রামবাসীদের একাংশ অগ্নিমিত্রা পালকে আঙুল উঁচিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলছেন। বিধায়কের দাবি, যাঁরা এদিন এই কাজ করেছেন তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের লোক। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা তাঁদের ভুল বুঝিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক থাকাকালীন এই গ্রামে বিদ্যুৎ আনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সেই কাজের অনুমতি তখনই মিলেছিল। তারপর টেন্ডার সহ অন্য কাজ করতে গিয়ে কিছুটা সময় লেগেছে। স্থানীয় কাউন্সিলারও নিয়মিত এই ব্যাপারে যোগাযোগ রাখছিলেন। আশা করছি আর দু-একদিনের মধ্যেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন : তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আয়োজনে বহরমপুরে রবীন্দ্র-নজরুল স্মরণ