গাজোল: সারের কালোবাজারি রুখতে জোরকদমে ময়দানে নেমেছে কৃষি দপ্তর। বৃহস্পতিবার জেলার উচ্চপদস্থ কৃষি আধিকারিকেরা গাজোল (Gajol) ব্লকের বিভিন্ন সারের দোকানে হানা দেন। খতিয়ে দেখেন দোকানে সারের মজুত এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তবে এদিন দোকানগুলোতে কোনও অনিয়ম খুঁজে পাননি তারা। তবে আগামী দিনে এই ধরনের আচমকা পরিদর্শন জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিকেরা। এদিন গাজোলের ময়না এবং কৃষ্ণপুরে সমবায় সমিতি এবং বিভিন্ন সারের দোকান পরিদর্শন করেন কৃষি আধিকারিকেরা।
উপকৃষি অধিকর্তা সৌমেন্দ্রনাথ দাস জানান, সারের কালোবাজারি রুখতে আমরা বিভিন্ন জায়গার দোকান এবং সমবায় সমিতি গুলিতে অভিযান চালাচ্ছি। এদিন গাজোল ব্লকের বিভিন্ন দোকানে আমরা পরিদর্শন করছি। মজুত সারের সাথে কাগজপত্র মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এদিন কোথাও কোন অনিয়ম ধরা পড়েনি। সারের দোকানের পাশাপাশি আমরা কৃষ্ণপুর সমবায় সমিতিও ঘুরে দেখলাম। এখানের গোডাউনে যে সার মজুত করা ছিল কৃষকদের মধ্যে বিলিবন্টনের জন্য তা খুলে দেওয়া হলো। তবে কৃষকদের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি একসঙ্গে একেকজন কৃষক বেশি পরিমান সার তুলবেন না। সব কৃষক যাতে সার পেতে পারেন তার জন্য সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। সার নেওয়ার সময় কৃষকদের আধার কার্ড নিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে কৃষকদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে শুধু এনপিকে সার নয়, সমস্ত সার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এজন্য দরকার হলে কৃষি দপ্তরের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও কৃষকদের আমরা বলছি প্রতিটি জায়গায় ন্যায্য দামে সার কিনবেন। কোথাও যদি বেশি দাম নেওয়া হয় তাহলে যেন কৃষি দপ্তরের কাছে রিপোর্ট করা হয়। অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ইতিমধ্যে আমাদের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। আমরা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আগামী দিনেও এই ধরনের পরিদর্শন বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন: Chanchal News | ধর্মীয় জালসায় উপস্থিত সভাধিপতি ও বিধায়ক