ভাস্কর শর্মা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারের কোভিড হাসপাতালে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এবার ওয়াকি-টকির সাহায্য নিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। তপসিখাতা ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতালকে ইতিমধ্যেই কোভিড ১৯ হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। এই হাসপাতালেই চিকিৎসক, নার্স সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি এখন রাতদিন এক করে কাজ করছেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা।
চিকিৎসক, নার্সরা পিপিই কিট পড়ে হাসপাতালের ভেতরে থাকলেও অন্যরা বাইরে থেকেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এখানে এখনও কোনও করোনা পজেটিভ রোগী ভর্তি হননি। কিন্তু কোনওমতেই যাতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে খামতি না থাকে তার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।হাসপাতালের ভেতরে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে বাইরে থাকা স্বাস্থ্যকর্তারা যোগাযোগের জন্য এখন ব্যবহার করছেন ওয়াকি-টকি।
আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেপুটি সিএমওএইচ–২ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, হাসপাতালের ভেতরে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ। তাই ভেতরে থাকা চিকিৎসক ও অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ওয়াকি-টকির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। মোট ৬ টি ওয়াকি-টকি ব্যবহার করা হচ্ছে। ৬ জনকে এই ওয়াকি-টকি দিয়েছি। তাই যার জিনিস সেই ব্যবহার করছেন। এতে হাত বদল না হওয়াতে ভাইরাস নিয়েও আতঙ্ক থাকবে না।
আরও পড়ুন: উত্তরের করোনা পরিস্থিতি দেখতে শিলিগুড়ি শহর দাপাচ্ছে কেন্দ্রীয় টিম
আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় করোনার চিকিৎসার জন্য প্রথম ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে ঢেলে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু খোদ মুখ্য মন্ত্রীর নির্দেশ ফালাকাটা থেকে কোভিড হাসপাতাল তপসিখাতায় নিয়ে আসা হয়। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তপসিখাতা ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতালকে কোভিট ১৯ হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: ইংরেজবাজারে তিন কোটি টাকার ব্রাউন সুগার সহ গ্রেপ্তার ২
আয়ুষ হাসপাতালে ১১০টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আছেন ২৪০ জন। ১০টি ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারটি ডায়ালিসিস বেড আছে। এছাড়াও এক্সরেরও ব্যবস্থাও করা হয়েছে।রোগীদের জন্য দুটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স, ডেডিকেটেড সেম্পেল কালেকশন ভ্যানের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ১০০ কেভিএ একটি জেনারেটরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে কোভিড ১৯ হাসপাতালে।