ময়নাগুড়ি: নয় বছরের ছেলের সামনে ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী! মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ির ধওলাগুড়ি গ্রামে। মৃতার নাম মিতালী দে ভৌমিক (৩০)। ঘটনায় জখম হন গৃহবধূর মা ও বৃদ্ধা ঠাকুমা। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত সুজিত দে ভৌমিক (৩৫)। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
প্রায় দশ বছর আগে ময়নাগুড়ির চারেরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সুজিত দে ভৌমিকের সঙ্গে পাশ্ববর্তী ধওলাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মিতালীর বিয়ে হয়। তাঁদের নয় বছরের এক পুত্র সন্তানও আছে। জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে অভিযুক্ত সুজিতের শ্বশুর মারা যান। মিতালীদেবীর দিদি চৈতালী সরকার জানান, গত মাসে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর তিনি তাঁর পুত্র সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে আছেন। তাঁর বোন মিতালীও স্বামী সুজিত ও তাঁদের ছেলেকে নিয়ে এখানে রয়েছেন বেশ কিছুদিন।
তিনি জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও বিগত কয়েকদিন ধরে মিতালী ও সুজিতের মধ্যে মোবাইল নিয়ে বিবাদ চলছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এদিন সকালেও তাঁদের মধ্যে বিবাদ হয়। এরপর স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারেন সুজিত। মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মিতালী। মিতালীর মা কল্পনাদেবী বাধা দিতে আসলে তাঁকেও সুজিত আঘাত করে বলে অভিযোগ। তাদের চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে আসেন মিতালীর ঠাকুমা হিরণবালা সরকার। অভিযোগ, তাঁকেও আঘাত করে সুজিত। তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন মিতালীর দিদি চৈতালি। তিনজনকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের জানান তিনি। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসার আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সুজিত। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিতালীদেবী ও তাঁর মা কল্পনাদেবীকে জল্পাইগুড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। হিরণবালাদেবীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। মিতালীদেবীকে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করার পর তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন রয়েছেন কল্পনাদেবী। এবিষয়ে ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস জানান, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷