খড়িবাড়ি: বরাদ্দ হলেও ছাগল হাতে পায়নি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। যদিও অভিযোগ, মাস্টার রোলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সই জাল করে ছাগল বিতরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনায় সংঘের বিরুদ্ধে সই জাল করে ছাগল আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বুধবার সন্ধ্যায় খড়িবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অলকা সিংহ। অন্যদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে জানিয়ে এদিন সংঘের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা সংঘের অফিস ঘরে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি সংঘের সদস্যদের উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, খড়িবাড়ি পানিশালী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৪২৬টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে দিশারী সংঘ। অভিযোগ, গত ২০ জানুয়ারি প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের তরফে খড়িবাড়ি পানিশালী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তিনটি নির্বাচিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে মোট ৬৩টি ছাগল বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য দিশারী সংঘকে দেওয়া হয়। সেই হিসেবে প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ২১টি করে ছাগল দেওয়ার কথা ছিল। যদিও সংঘের তরফে ছাগলগুলি বিতরণ হয়নি। অথচ মাস্টার রোলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জাল সই করে ছাগল বিতরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গত ২৭ জানুয়ারি আন্দোলনে শামিল হন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সংঘের অফিস ঘরে তালা ঝুলিয়ে বিডিওর কাছে দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন বিডিও। যদিও গতকাল সংঘের সদস্যরা তালা ভেঙে অফিস ঘরে ঢোকে। পরবর্তীতে এদিন বিডিওর নির্দেশে দিশারী সংঘের পদাধিকারীদের পরিবর্তনের জন্য সভা বসেছিল। খবর পেয়ে একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পাঁচ শতাধিক মহিলা সংঘের অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি, ছাগল বিতরণে জালিয়াতির অভিযোগে সংঘের নির্বাচিত ১১ জন সদস্যকে বরখাস্ত করে নতুনভাবে সংঘ গঠনের দাবি জানান তাঁরা।
খড়িবাড়ির বিডিও নিরঞ্জন বর্মন জানান, সরকারি অফিসে তালা মারা বেআইনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।যারা ছাগল পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁদের ইতিমধ্যে ছাগল দেওয়া হয়েছে। বহিরাগতদের প্ররোচনায় অরাজকতা করছে। ঘটনা প্রসঙ্গে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।