হরিশ্চন্দ্রপুর: চাষের জমি থেকে মাটি কেটে তা পাঠানো হচ্ছে বিহারে। আর এই কাজে ট্র্যাক্টর চলাচলের জন্য মরা কানখোল ক্যানালে বসানো হয়েছে হিউম পাইপ। এছাড়াও মাটি ফেলে একপ্রকার অবরুদ্ধ করা হয়েছে ক্যানালের গতি। গ্রামবাসীদের দাবি, নিয়ম না মেনে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যথেচ্ছভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। অন্যদিকে, মাঝ ক্যানালে বসানো হয়েছে চুরির হিউম পাইপ। ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ডাটিয়ন গ্রামের যোগীলাল ব্রিজ এলাকার। এ বিষয়ে চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় জানিয়েছেন, এখনও কোনও অভিযোগ পাননি তিনি। তবে অনিয়ম ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যেভাবে নিয়ম না মেনে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে একদিকে যেমন রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে তেমনই বদলে যাচ্ছে কৃষি জমির চরিত্রও। ক্যানালের গতিপথ অবরুদ্ধ হওয়ায় সংলগ্ন এলাকায় কৃষিজমিতে জল জমতে শুরু করেছে। ডুবতে শুরু করেছে ধানের চারা। ঘটনায় ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকের একাংশের মদত রয়েছে বলেই দাবি অনেকের। তাঁদের কথায়, সামগ্রিক ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গিয়ে একাধিক সময় মাটি মাফিয়াদের রোষে মুখে পড়তে হয়েছে অনেককেই।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুরজিৎ দাস জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারানটিনে রয়েছেন তিনি। বিষয়টি জানা নেই।বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।