হরিশ্চন্দ্রপুর: হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) থানা এলাকার ভালুকা অঞ্চলে জমিদার আমলের প্রায় শতবর্ষ প্রাচীন একটি আম ও লিচুবাগান বন দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তীর এলাকারই একটি মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে। ওই মন্দির কমিটির তত্ত্বাবধানে ছিল ওই শতাব্দী প্রাচীন আম এবং লিচু বাগানটি। অভিযোগকারী দেবাশীষ পাসমণ জানান এলাকার শ্রাবণী কালী মন্দির কমিটি গ্রামের কোনও লোকের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাগানের গাছ কেটে ফেলে। আমরা মনে করছি এতে পরিবেশ এর ভারসাম্য যেমন নষ্ট হবে তেমনি গ্রামের মানুষদের আর পশু পালনের জায়গাও থাকবে না। আমরা এ বিষয়ে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন এবং বনদপ্তরকে অভিযোগ জানিয়েছে।
ভালুকা শ্রাবণী কালী মন্দিরের সম্পাদক সন্তোষ ঘোষ জানান, ওই আমবাগান জমিদারদের কাছ থেকে এক সময়ে ভালুকা শিবরাত্রি পূজা কমিটি এবং শ্রাবণী কালী পূজা কমিটি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দুই দফায় কিনে নিয়েছে। শত বছর প্রাচীন এই বাগানের বেশিরভাগ গাছ ই পোকা ধরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে কোন ফল হচ্ছে না। কোন কোন গাছ বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। তাই আমরা মন্দির কমিটির সমস্ত সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের অনুমতিক্রমে গাছগুলি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকী সেই অর্থ কালী মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ এবং তার সঙ্গে মন্দির নির্মাণের কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই গাছগুলোর পরিবর্তে ৪০০টি মেহগনি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কমিটি। ইতিমধ্যেই ২৮টি গাছ লাগানো হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কড়িয়ালি ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার সুদর্শন সরকার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ওই গাছ কাটার অনুমতি বনদপ্তরের কাছে নেওয়া হয়নি। আমরা সরেজমিনে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি জানান, গাছ কাটার ব্যাপারে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। আমরা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।
আরও পড়ুনঃ তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ব্যাংক কর্তার বিরুদ্ধে, বিক্ষোভ গ্রাহকদের