মেখলিগঞ্জ: একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করার পর কেটে গিয়েছে কয়েক বছর। এখনও কাজের পারিশ্রমিক মেলেনি। দিনের পর দিন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ছোটোছুটি করেও কোনো লাভ হয়নি। শুক্রবার এই অভিযোগ তুলে মেখলিগঞ্জের ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই নিয়ে মেখলিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: কালভার্ট ভেঙে বিচ্ছিন্ন পূর্ব কামসিং গ্রাম
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের তরফে গতকাল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়, এক ব্যক্তি তাদের অফিসে ঢুকে মেশিনপত্র সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙতে শুরু করে। ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন অফিসে উপস্থিত কর্মীরা। তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করলেও ওই ব্যক্তি কোনও কিছু বোঝার চেষ্টা না করে উল্টে তাঁদের অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করেন এবং প্রাণ নাশেরও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার কিছুক্ষণ পর পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে এলে তাঁকেও রোষের মুখে পড়তে হয় এবং তাঁকেও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করেও এখনও টাকা তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। বারংবার বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এমনটা করেন।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ
এই বিষয়ে ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মৃত্যুঞ্জয় সিংহ সরকার বলেন, ‘এলাকার বেশ কয়েকজন শ্রমিকের একশো দিনের প্রকল্পের কাজের পারিশ্রমিক বকেয়া রয়েছে। বিষয়টি তাঁরা বারংবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়ে আসছেন। কিন্তু আধারকার্ডজনিত কিছু সমস্যা রয়েছে বলে সেখান থেকে জানানো হচ্ছে। তাই এই বিষয় নিয়ে তাঁদের কিছু করার নেই। তা সত্বেও বিষয়টি অনেককেই বোঝানো সম্ভব হয়না। এদিন হঠাৎ ওই ব্যক্তি কোনওকিছু বুঝে ওঠার আগেই অফিসের কম্পিউটারের মনিটর ও অন্য যন্ত্রাংশ ভেঙে ফেলেন। অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করেন এমনকি প্রাণ নাশেরও হুমকি দেন। সমস্ত ঘটনার কথা ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশকে জানানো হয়েছে।’ এই বিষয়ে মেখলিগঞ্জ ব্লকের বিডিও সাঙ্গে ইউডেন ভুটিয়া জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ব্লক প্রশাসনের তরফেও বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’