ঘোকসাডাঙ্গা ও ফুলবাড়ি: মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় নদীর চর থেকে অবৈধ মাটি বা বালু চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সংবাদে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর মাঝে দু’একদিন বন্ধ থাকলেও ফের বলি চুরি অব্যহত। মঙ্গলবার ব্লকের বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে জলঢাকা নদীর চর থেকে অবৈধভাবে মাঠি, বালি চুরির খবর মিলেছে। এদিন নদীর চর থেকে ট্র্যাক্টর ট্রলিতে করে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে জলঢাকা নদীর চরে অভিযান চালায় ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ। কিন্তু তার আগেই ট্র্যাক্টর ট্রলি নিয়ে মালিক ও মাটি কাটার শ্রমিকরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, নদীর চর থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে নদীর চর থেকে ট্র্যাক্টর ট্রলি দিয়ে মাটি, বালু কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা এলাকায় আসার আগেই তারা পালিয়ে যাচ্ছেন। এব্যাপারে ঘোকসাডাঙ্গা থানায় যোগাযোগ করলে অভিযোগ পাওয়ার পরই থানার ওসি অজিত কুমার শা’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু পাওয়া যায় নি। এধরনের অভিযান প্রায়ই চালানো হবে। এব্যাপারে মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের বিএলএলআরও বিকাশ রায় বলেন, ‘জলঢাকা নদী থেকে বালু চুরির খবর পেয়েছি। এক প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছোনোর আগেই মাটি বালু কারবারিরা সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা এধরনের অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা অভিযান চালাই। আগামীদিনেও এধরনের অভিযান চালানো হবে।