রাঙ্গালিবাজনা: এ যেন মুড়ি মুড়কির এক দর! ধান, পাট, আলু থেকে সুপারির বাগান, সবকিছুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের মাপকাঠি একই। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া টাকার অংকটাও প্রায় এক। হাতির হানায়(elephant attack) বিঘার পর বিঘা জমিতে চাষ করা ফসল উজাড় হচ্ছে ডুয়ার্সে। বন দপ্তর অবশ্য ফসল, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। তবে ক্ষতিপূরণের মাপকাঠি এবং টাকার অংক নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে ডুয়ার্সজুড়ে। কারণ মোটা অংকের টাকা খরচ করে চাষ করা আলু, বিশেষ করে সুপারির বাগান তছনছ হলেও ক্ষতিপূরণের অংক নির্ধারিত হচ্ছে ধান, পাটের মতো ফসলের মাপকাঠিতে। বর্তমানে ধান, গম, পাটের মতো শস্যের ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি কমবেশি ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় বন দপ্তর। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের বক্তব্য, ধান পাটের চেয়ে আলু চাষের খরচ অনেক বেশি। তাই আলু বিশেষ করে সুপারির মতো ফসলের ক্ষতির ক্ষেত্রে পৃথক মাপকাঠিতে ক্ষতিপূরণের অংক নির্ধারিত করতে হবে।
একটি সুপারি গাছ ফসল দেওয়া শুরু করতে ১০ বছর সময় নেয়। সেই ১০ বছর ধরে সার, জল, নিড়ানি বাবদ অনেক টাকাও খরচ করতে হয়। কিন্তু বাগানে একবার হাতি ঢুকলে মুহুর্তেই তছনছ হয়ে যায় সব গাছ। এদিকে খরচের তুলনায় বন দপ্তরের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকার অংক একেবারেই নগণ্য বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। এ প্রসঙ্গে বন দপ্তরের জলদাপাড়া ডিভিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বন দপ্তর পরিকল্পনা করে থাকে। তবে তা অনুমোদনের বিষয়টি নির্ভর করে অর্থ দপ্তরের ওপর। অর্থ দপ্তর ক্ষতিপূরণের যে হার অনুমোদন করে বন দপ্তর সেটি মেনে চলে।