রায়গঞ্জ, ১৪ এপ্রিলঃ লকডাউনে গৃহস্থ এবং পথ পশুদের চিকিৎসার জন্য ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়ে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের স্বাস্থ্য উপ-অধিকর্তাকে চিঠি দেওয়া হল। বুধবার উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিমেলস নামে একটি পশুপ্রেমী সংস্থার তরফে ওই চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি, পশু হাসপাতাল নির্দিষ্ট সময় খোলা রাখা এবং পশুপ্রেমীদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রদানেরও আবেদন করা হয়েছে।
সংগঠনের সম্পাদক গৌতম তান্ত্রিয়া জানান,
করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করার জন্য দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ায়, বিভিন্ন পোষ্য প্রাণীর মালিকরা তাঁদের অসুস্থ পোষ্যকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছেন না।পথের গোরু, বিড়াল এমনকি কুকুরও অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেই কারণেই তাঁরা সংগঠনের তরফে জেলার প্রতিটি ব্লকে ভ্রাম্যমাণ প্রাণী চিকিৎসা ব্যবস্থা চালুর দাবি করেছেন।
ওই সংগঠন ভেটেনারি চিকিৎসকদের নাম এবং ফোন নম্বর সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে। এরফলে পোষ্যের মালিক এবং পশুপ্রেমীরা চিকিৎসার জন্য, চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনেই যোগাযোগ করতে পারবেন। চিকিৎসকও ফোনের মাধ্যমে পরামর্শ দিতে পারেন। খুব প্রয়োজনে অসুস্থ পশুটির কাছে গিয়েও চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
সংগঠনের সভাপতি গোপাল মিত্র জানান, লকডাউনে পশু হাসপাতাল বন্ধ থাকায়, অনেকেই বিপাকে পড়ছেন। সেই কারণে এদিন চিঠির মাধ্যমে পশু হাসপাতাল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার আর্জি জানানো হয়েছে। সংগঠনের তরফে রাস্তার পশু-পাখিদের খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সংগঠনের সদস্যদের মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং হ্যান্ড গ্লাভস ক্রয়ের আর্থিক সামর্থ্য নেই। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাণীসম্পদের উপ-অধিকর্তার কাছে সংশ্লিষ্ট সামগ্রী দেওয়ার জন্য আবেদনও করা হয়েছে।