ফাঁসিদেওয়া, ১৬ এপ্রিলঃ সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি না থাকলেও, আশা কর্মীদের দিয়ে অবৈধভাবে কোয়ারান্টাইন সেন্টারের স্বাস্থ্যকর্মীর কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে ব্লক মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের মাধ্যমে দার্জিলিংয়ের মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পক্ষে সংগঠনের দার্জিলিং জেলার ভাইস প্রেসিডেন্ট জয় লোধের নেতৃত্বে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, আশা কর্মীদের দিয়ে ফিল্ডে কাজ করানোর বদলে, কোয়ারান্টাইন সেন্টারে কাজ করানো হচ্ছে। এমনকি আশা কর্মীদের রাত্রিবেলাতেও কাজ করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় সরকারি নিয়ম অনুসারে কোয়ারান্টাইনে কর্তব্যরত কর্মীদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ গোটা পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দেওয়ার কথা থাকলেও, বাস্তবে তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে, সেখানে থাকা কোনো রোগী সত্যিই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, আশা কর্মীদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল হবে। জয় লোধ আশা কর্মীদের পক্ষে জানান, দিনে বা রাতে তাঁরা কোনোভাবেই কোয়ারান্টাইনে কাজ করবেন না। তাঁরা শুধুমাত্র ফিল্ডেই কাজ করবেন। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বিষয়টি বিবেচনার জন্য, তাঁদের কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন। ফাঁসিদেওয়া ব্লক মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিএমওএইচ জানিয়েছেন, যারা ফিল্ডে কাজ করছেন তাঁদের জন্য রি-ইউজেবল গ্রীণ মাস্ক দেওয়া হয়েছে৷ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বন্দোবস্ত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, কোয়ারান্টাইন সেন্টারে সরকারি নির্দেশ অনুসারে সকল কর্মীদেরই কিছু দায়িত্ব পড়েছে। তেমনই আশা কর্মীদেরও কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, সেখানে পিপিই কিট পর্যাপ্ত রয়েছে। আশা কর্মীদের কিছু ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে। তা এদিন আলোচনার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্মারকলিপি দার্জিলিংয়ের মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিয়ের চাপ দেওয়া আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোনও পক্ষই লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
Read more