
আহমেদাবাদ : পিচ কোনও ইস্যু নয়। ইংল্যান্ডেও দ্রুত ম্যাচ শেষ হয়। এরকম সংক্ষিপ্ত একাধিক ম্যাচে নিজেও খেলেছেন। পিচ বিতর্কে জল ঢেলে এভাবেই মোতেরার বাইশ গজের পাশে দাঁড়ালেন জোফ্রা আর্চার।
ইংল্যান্ড পেস ব্রিগেডের অন্যতম অস্ত্র আর্চারের যুক্তি, কোন পিচে খেলতে হবে, আমার কাছে এটা ইস্যু নয়। কাউন্টিতে গ্লামারগনের বিরুদ্ধে খেলা দিনরাতের ম্যাচ মাত্র পাঁচ সেশন চলেছিল। সাসেক্সের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে লিস্টারশায়ারকে দুদিনের ভিতর হারিয়েছিলাম। অর্থাৎ, ইংল্যান্ডেও দ্রুত ম্যাচ হয়। তাছাড়া খারাপ ওয়াই-ফাই ছাড়া আমি খুব বেশি অভিযোগে বিশ্বাসী নই।
পিচ বিতর্কে ভারতকে সমর্থন করে এখানে থেমে থাকেননি ইংল্যান্ডের ক্যারিবীয় পেসার। বাস্তববাদী আর্চার বলেছেন, সত্যি কথা বলতে, ভারত সফরে আমাদের জন্য টার্নিং পিচ থাকবে, এটাই প্রত্যাশিত। দ্যাটস ফাইন। তবে এর মানে এই নয়, ব্যাটিং সহজ।
আর কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে ভয়ডরহীন ক্রিকেটই চাইছেন অধিনায়ক জো রুটও। গত টেস্টের উদাহরণ টেনে আর্চারের বক্তব্য, আহমেদাবাদ টেস্টে প্রথম ইনিংসে রবিচন্দ্রন অশ্বীন, অক্ষর প্যাটেল বাড়তি টার্ন করছিল। সামলাতে সমস্যা হয়। দ্বিতীয় ইনিংসের আগে রুট সবাইকে বলে হারানোর কিছু নেই। খোলসের মধ্যে ঢুকে থাকার প্রয়োজন নেই। আমরা যেন ভয়ডরহীন মনোভাব নিয়ে খেলি এবং বাকি সিরিজেই যা বজায় রাখতে হবে।
এর আগে পিচ নিয়ে একই সুরে কথা বলেন আর্চারের সতীর্থ জ্যাক লিচও। রুট ব্রিগেডের এক নম্বর স্পিনার বলেন, ক্রিকেট অনুরাগী হিসেবে দুদিনের টেস্ট আমার পছন্দ নয়। চাইব টেস্ট আরও লম্বা হোক। এটাই হওয়া উচিত। আর উইকেট যেরকমই হোক না কেন, লক্ষ্য একটাই, নিজের সেরাটা দেওয়া। আমরা আপাতত এটা নিয়ে ভাবছি।
প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন অশ্বীন-অক্ষরদেরও। লিচের মতে, পিচ নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। শুধু বলব ওই পরিস্থিতিতে আমাদের টেক্কা দিয়েছে ভারত। আমি এর থেকে শিক্ষা নিতে চাই। দলের সকলের এই একই মনোভাব। আর অশ্বীন বিশ্বসেরা বোলার। অক্ষর এই পিচে দুর্দান্ত। ভারতীয় স্পিনাররা খুব ভালো বলও করেছে। কোনওভাবেই ওদের কৃতিত্বটা খাটো করে দেখা অনুচিত। আমাদের চেয়ে ওরা ভালো খেলেছে। আমাদের উচিত এর থেকে শিক্ষা নেওয়া।