ওয়াশিংটন: করোনা রুখতে লকডাউনের জেরে জীবন জেরবার হলেও দূষণ-রোগ থেকে কিছুটা সুস্থ হচ্ছে পৃথিবী।
দীর্ঘদিন গাড়িঘোড়া, কলকারখানা বন্ধ থাকায় বিশ্বে দূষণের মাত্রা কমেছে। আন্তর্জাতিক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, মহামারির দাপটে দূষণের হাত থেকে কিছুটা রেহাই পেয়েছে বসুন্ধরা। ২০১৯ সালের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরে ওই সময়ে দৈনিক কার্বন নির্গমন ১৭ শতাংশ কমেছে।
গোটা বছর লকডাউনে কড়াকড়ি বজায় থাকলে বছরের শেষে দৈনিক কার্বন নির্গমনের মাত্রা আরও ৭ শতাংশ কমবে। বিজ্ঞানীদের মতে, এতে আহ্লাদিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, কার্বন নির্গমন কম হওয়ার এই মাত্রা বিশাল সমুদ্রে এক ফোঁটা জলের মতো।
জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মাত্রাতিরিক্ত বাযুদূষণ হয়ে থাকে। করোনা আটকাতে মানুষ ঘরবন্দি। তালাবন্ধ রয়েছে বহু দেশ। কমেছে দূষণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম বিশ্বে দূষণের মাত্রা এতটা কমেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এপ্রিলে আমেরিকায় দৈনিক কার্বন নির্গমনের মাত্রা এক তৃতীয়াংশ কমেছে। কার্বন নির্গমনে শীর্ষে চিন। সেখানে এই গ্যাস নির্গমনের মাত্রা এক চতুর্থাংশ কমেছে। দৈনিক কার্বন নির্গমনের পরিমাণ ২৬ ও ২৭ শতাংশ করে কমেছে ভারত ও ইউরোপে।
প্রায় ৪৫০ ডাটাবেস পর্যবেক্ষণ করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা গ্লোবাল কার্বন প্রোজেক্ট নামে যে পর্যবেক্ষণ রিপোর্টটি তৈরি করেছেন, আন্তর্জাতিক জার্নাল নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ-এ তা প্রকাশিত হয়েছে। পুরো সমীক্ষাটি হিসেব করা হয়েছে ২০১৯ সালের প্রেক্ষিতে।
বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলে দৈনিক কার্বন নির্গমনের মাত্রা আবার হু হু করে বাড়বে। সেই আশঙ্কাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।