দীপঙ্কর মিত্র, কালিয়াগঞ্জ: ‘রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী হওয়ায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হতে হচ্ছে। কিন্তু সাধারন মানুষের আর্শীবাদকে পাথেয় করে উন্নয়নের কাজ করছি।’ এমনটাই দাবি কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর মঞ্জুরি দত্ত দামের। এলাকাবাসীর স্বার্থে তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি মঞ্জুরি দেবীর। ২০১৫ সালে পুরসভা ভোটে তাঁর নিকটতম প্রতিদন্দ্বী তৃনমূল কংগ্রেসের রুপালী রজককে আনুমানিক ১১৪ ভোটে হারিয়ে কাউন্সিলার হন কংগ্রেসের মঞ্জুরি দেবী।
তিনি বলেন, ‘এলাকার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভার সঙ্গে লড়াই করে যেতে হচ্ছে। অনেক সত্ত্বেও ড্রেনেজ সিস্টেম এখনও হল না। ফলে, মদন কর্মকারের বাড়ির রাস্তায় জল জমে থাকে। মুক্তি ফার্মেসির রাস্তায় ড্রেন থাকলেও পরিষ্কার না করার দরুন বৃষ্টি হলে এখনও হাটু সমান জল জমে থাকে। এর ফলে এলাকাবাসীকে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এই রাস্তাটি হসপিটাল রাস্তার সঙ্গে যোগ হওয়ায় অনেক সময়ে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অসুবিধার মধ্যেও পড়তে হয়। বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সরবরাহের প্রতিশ্রুতি, তৃনমূল পরিচালিত পৌরসভার কালিয়াগঞ্জবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতি হিসেবেই রয়ে গেল।’
মঞ্জুরি দেবী আরও বলেন, ‘এর মধ্যেই যতটুকু পেরেছি তা হল বার্ধ্যক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর। এইগুলি যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে পৌছে দেবার চেষ্টা করেছি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘উন্নয়ন রাস্তায়ে দাঁড়িয়ে আছে। মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির এলাকা, মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার এলাকা ও নেতাজী ক্লাবে উচ্চস্তম্ভ বাতি পুরসভার উদ্যোগে বসানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে সুন্দর নাট মন্দির প্রাঙ্গন সৌন্দর্যময় করে তুলতে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু আধিকারী দশ লক্ষ টাকা পুরসভাকে দিয়েছিলেন। সেই অর্থেরও কাজ হয়েছে।’
নেতাজী ক্লাব ময়দানে শিশুউদ্যান নতুন রুপে তৈরি হচ্ছে। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উপপুরপিতা বসন্ত রায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা কালিয়াগঞ্জের মানুষকে উন্নয়ন দেখাতে পারেনি। কিন্তু গত চার বছরে তৃনমূল পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পুরসভা কালিয়াগঞ্জের মানুষকে উন্নয়ন দেখিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলার অভিযোগ করলেই তো হবে না। ওই ওয়ার্ডে সব থেকে বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং কাজও হয়েছে। আগামী দিনে এই ওয়ার্ডের মানুষ কি চাইছে তা সময়ই বলবে।’