হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদা(Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের দুটি ব্লকে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে শুরু হচ্ছে সার্ভে। এই সার্ভের দায়িত্বে থাকছেন এলাকার আশা ও আইসিডিএস কর্মীরা। তাদের সঙ্গে থাকবে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং পঞ্চায়েতের গ্রাম সম্পদকর্মীরা। কিন্তু সার্ভে শুরুর সময় আশা এবং আইসিডিএস কর্মীদের সঙ্গে যেতে নারাজ গ্রাম সম্পদ কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা।তাদের দাবি, এই কাজে যাওয়ার জন্য উপর থেকে তাদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। এদিকে আইসিডিএস এবং আশাকর্মীদের কাছে নবান্নের নির্দেশ রয়েছে। এদিকে সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং গ্রাম সম্পদকর্মীরা না গেলে তারাও কাজে যাবেন না। তাদের আশঙ্কা তারা বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন। মুখে স্পষ্ট না বললেও তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন পঞ্চায়েত স্তরে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে সরকারি প্রকল্পে। সেক্ষেত্রে এখন সঠিকভাবে সার্ভে করতে গেলে অনেকের নাম বাদ যেতে পারে। সেখান থেকে বিক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে সিভিক ভলান্টিয়ারদের থাকাটা জরুরি। এই নিয়ে আশা এবং আইসিডিএস কর্মীরা দ্বারস্থ হন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসুর। সেই সময় সেখানে আসেন হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালের চিকিৎসক ছোটন মণ্ডল। তাকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান আইসিডিএস এবং আশা কর্মীরা। তাদের বক্তব্য, তারা কাজে যেতে রাজি। কিন্তু প্রশাসন থেকে সঠিকভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, ‘সার্ভের কাজ করতে কোনও সমস্যা হবে না। সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় সে রকম কোনও ব্যাপার নেই। এক দুই জায়গায় দুর্নীতি থাকতেই পারে। প্রশাসন সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছে। সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেন, ‘চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতির থেকেও বড় দুর্নীতি হয়েছে পঞ্চায়েতগুলোতে। তৃণমূলের নেতারাই বিভিন্ন সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। এখন আইসিডিএস বা আশা কর্মীরা সার্ভে করতে গিয়ে তাদের নাম বাদ দিলে তাদের রোশানলে পড়তে হবে। তাই তাদের দাবি সঠিক।