উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ১৬ বছর পর শেষ ষোলোতে পৌছে গেল অস্ট্রেলিয়া। কাতারের আল জানব স্টেডিয়ামে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের ৬০ মিনিটেই অসিরা দারুণ এক গোল এনে দেন ম্যাথু লেকি। পরের আধাঘণ্টা গোলটা আগলে রেখে অস্ট্রেলিয়া ডেনমার্ককে হারিয়েছে ১ গোলে। যে জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া।২০০৬ বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) পর এই প্রথম বিশ্বকাপের নকআউটে উঠল অস্টেলিয়া।
কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় যাওয়া নিশ্চিত করতে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। কাতারের আল জানব স্টেডিয়ামে আয়োজিত এদিনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ প্রথম থেকেই জমে ওঠে আক্রমণ প্রতি আক্রমনে। ৬ মিনিটের মাথায় স্কোভ ওলসেনকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখে বসেন অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার আহমেদ বেহিখ। দশম মিনিটের মাথায় ডেনমার্কের গোলবার লক্ষ্য করে শট নেন বেহিখ। তবে অজি ডিফেন্ডাররা দ্রুতই সেই বল ব্লক করতে সক্ষম হন।
প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরী করে দুদলই। তবে গোল পেতে ব্যর্থ হয় তাঁরা। ম্যাচের ১৯ মিনিটে বাম দিক থেকে আক্রমণে যায় ডেনমার্ক। ডি বক্সে ঢুকে প্লেসিং শট করলেও তা দারুণ সেভে রক্ষা করেন অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাথু রায়ান।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে ফের আক্রমণে যায় ডেনমার্ক। বক্সের ভেতর থেকে জোড়ালো শট নিতে ব্যর্থ হয় আন্দ্রেয়াস স্কোভ ওলসেন। তার নেওয়া দুর্বল শট সহজেই কোলবন্দি করেন ম্যাথু রায়ান। ম্যাচের ২৮ মিনিটে ফের আক্রমণে যায় ডেনমার্ক। বাম দিক থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে ক্রস করেন রাসমাস ক্রিস্টেনসেন। তবে তাতে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোল বঞ্চিত হয় ডেনমার্ক।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে আক্রমণে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে তা থেকে সুবিধা করতে পারেনি তারা। এরপর দু’দল আরও বেশ কিছু আক্রমণ করে। তবে গোলের দেখা পায় না কোন দল। ম্যাচের ৪১ মিনিটে বাম দিক থেকে আবারও বল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বড় বক্সে ঢুকে রাসমাস ক্রিস্টেনসেন। তবে বক্সে কোন স্ট্রাইকার না থাকায় বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় ডেনমার্ক। এরপর আরও কিছু আক্রমণ চালায় ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়া। তবে গোল পেতে ব্যর্থ হলে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় দু’দল।
বিরতি থেকে ফিরে গোলের লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দু’দল। তবে গোলের দেখা পায় না তারা। অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণকে বেশ ব্যস্ত রাখে ডেনমার্ক। মাঝে কিছু কাউন্টার অ্যাটাকে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে গুছিয়ে আক্রমণ পরিচালনা করে ডেনমার্ক।
তবে শ্রোতের বিপরীতে গোলের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের ৬০ মিনিটে ডেড লক ভাঙ্গে অস্ট্রেলিয়া। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ডেনমার্কের ডি বক্সে ঢুকে যায় ম্যাথু লেকি। সেখান থেকে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান তিনি। তার গোলেই ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড পায় অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ডেনমার্ক। অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণে একাধিক আক্রমণ চালায় তারা। তবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। অন্যদিকে এসময় কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলতে থাকে সকারুরা। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে গোছানো আক্রমণ করলেও তা আটকে যায় অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্সে।
এরপর ম্যাচের ৮৮ মিনিটে আবারও আক্রমণে ওঠে ডেনমার্ক। তবে খ্রিস্টান নরগার্ডের নেওয়া শট চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। ছয় পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোল’তে পা রাখে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপের অন্য ম্যাচে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে এক গোলে হারায় ফ্রান্সও ছয় পয়েন্ট নিয়ে নিয়ে শেষ ষোল’তে পা রেখেছে। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় গ্রুপ রানার আপ হয়ে শেষ ষোলো’তে পা রাখে অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন: Quatar World Cup | অবশেষে স্বস্তি, কাতার বিশ্বকাপের আসরে নিয়মকানুন করা হচ্ছে শিথিল