জলপাইগুড়ি: সরকারের তরফে নির্দেশ জারি করার পরও গয়েরকাটার সাপ্তাহিক হাটে স্থানীয়দের ভিড় লক্ষ্য করা গেল। করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই হাটে জমায়েত করতে দেখা গিয়েছে অনেককেই। সবজি-মাছ-মাংসের দোকানে ভিড় ছিল। খোলা ছিল কয়েকটি চা, তামাক ও মিষ্টির দোকানও। কিছু ব্যবসায়ী নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দোকান সাজিয়ে বসলেও অনেককেই পাশাপাশি দোকান নিয়ে বসতে দেখা গিয়েছে। মাস্ক ব্যবহার করতেও দেখা যাচ্ছে না। এই সবের কারণে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় মানুষ। অন্যদিনের তুলনায় মাছ-সব্জির দামও বেশি ছিল বলে অভিযোগ। তাদের দাবি অবিলম্বে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। বানারহাট থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, চালসার মঙ্গলবাড়ি সাপ্তাহিক হাটেও একই ছবি ধরা পড়লো। মেটেলি থানার পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় যুবকেরা বাজার খালি করে দেয়। ভিড় কমাতে বলায় তাদের সঙ্গে দোকান মালিকের বচসা শুরু হয়। কিছু সবজি দোকান হাটে বসতে না পেরে ৩১নং জাতীয় সড়কের পাশে গিয়ে বসে। সেখানে কেনা কাটা করতে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পরে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত পুলিশকে দেখা যায়নি সেখানে। পরে মেটেলি থানার পুলিশ এসে দোকানের ভিড় সরিয়ে দেয়। অযথা বাইরে বের হওয়া কয়েকজনকে লাঠিচার্জ করতেও দেখা যায়। তবে ব্লকের চালসা, মঙ্গলবাড়ি, বাতাবাড়ি, মেটেলি, ধূপঝোরা, মাথাচুলকা এলাকায় দোকান পাট বন্ধ ছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি বজায় রাখতে অভিযান চালায় মাল থানার পুলিশ। অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে থানার ওসি শুভাশীষ চক্রবর্তীকে টহল চালাতে দেখা যায়। মালের মহকুমাশাসক শান্তনু বালা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ চক্রবর্তী, মাল পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন সাহা প্রমুখ ধারাবাহিকভাবে এলাকাতে নজর রাখছেন। জরুরী পরিষেবা ছাড়া অন্য কাউকে বাইরে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। পুরসভার তরফে লকডাউন নিয়ে শহরে প্রচার চালানো হচ্ছে।