সুবীর মহন্ত, বালুরঘাটঃ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলার করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বালুরঘাটে এলেন রাজ্য থেকে বিশেষ নিযুক্ত নোডাল অফিসার রিতেশ মোহন। সোমবার বালুরঘাট সার্কিট হাউসে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল, পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত এবং জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
রাজ্য সরকার নিযুক্ত নোডাল অফিসার রিতেশ মোহন মূলত জেলার বর্তমান পরিস্থিতি সম্বন্ধে আলোচনা করেন। এখনও পর্যন্ত জেলায় কোনও করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও জেলা প্রশাসন সর্বতোভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক নিখিল নির্মল।
রাজ্য নিযুক্ত নোডাল অফিসার রীতেশ মোহন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বললেও, জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, ‘জেলার প্রস্তুতি নিয়ে খুশি রাজ্য সরকার। কোয়ারান্টিন ও হোম কোয়ারান্টিন নিয়ে প্রস্তুতি কী রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমাদের জেলায় টেস্টের সংখ্যা বাড়ছে দেখে খুশি হয়েছেন তিনি।’
পাশাপাশি, এদিন জেলাশাসক আরও জানান, চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর খোলার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। লকডাউনের জেরে সীমান্ত সিল থাকায় কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ভারতীয় গ্রামগুলির বাসিন্দাদের যে ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে, সেগুলোও কিছুটা মানবিকতার সঙ্গে দেখার জন্য বিএসএফকে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
এদিকে, এদিন বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও পরে তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ রাজ্য নিযুক্ত নোডাল অফিসার রীতেশ মোহনের সঙ্গে দেখা করে বেশকিছু বিষয়ে তথ্য দেন। অর্পিতাদেবী এদিন বলেন, ‘জেলার বেশকিছু কোয়ারান্টিন সেন্টার অপরিষ্কার থেকে যাচ্ছে। সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে। এছাড়াও এ জেলার প্রচুর শ্রমিক ভিনরাজ্যে আটকে রয়েছেন। তাঁরাও লকডাউনের আগে বা পরে ফিরবেন। সেই সময়ের মোকাবেলার জন্য তৈরি থাকা প্রয়োজন। কোয়ারান্টিন সেন্টার বাড়ানোর জন্য এখন থেকেই ভবন চিহ্নিত করে রাখা ও পরিকাঠামো তৈরি রাখার কাজ করতে হবে।’