বালুরঘাট: প্রিন্সেপ ঘাট বা বাবুঘাটের নাম সকলেরই জানা। এবার সেই আদলেই বালুরঘাটে (Balurghat) সেজে উঠবে কংগ্রেস ঘাট। বালুরঘাটবাসী আত্রেয়ীর পাড়ে বসে যাতে মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন। তা ভেবেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বালুরঘাট পুরসভা। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে বসার জায়গা থেকে শুরু করে শিশুদের খেলার জায়গাও তৈরি করা হবে বলে পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিশ্রামের জন্য জায়গা পেয়ে খুশি সান্ধ্যভ্রমণকারী প্রবীণ নাগরিকরাও।
বিভিন্ন শহরের বুকে বয়ে চলা নদীর ঘাট বাঁধিয়ে তোলা হয়। যেখানে সারাদিনের কাজকর্ম সেরে সন্ধ্যায় একটু জিরিয়ে নেন শহরবাসী। বালুরঘাটে ঠিক এই ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাইছে পুরসভা। নদীর স্নিগ্ধ হাওয়া গায়ে মাখতে শহরবাসী সূর্য ডুবতেই সরোজ রঞ্জন সেতুতে ভিড় জমান। সেতুর দুদিকেই রেলিং বরাবর সকলে দাঁড়িয়ে থাকেন। এই মুহূর্তে শহরে এরকম কোনও ঘাট তৈরি হলে সকলেরই উপকার হবে বলে জানিয়েছেন পুর প্রধান। বালুরঘাটের আত্রেয়ী কলোনির পাশেই রয়েছে এই ঘাট। যা সংস্কার করে তার সৌন্দর্যায়নে নেমেছে পুরসভা। যেখানে একটি ছোট শিশু উদ্যান গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে শিশুদের খেলার পরিসর কমে এসেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে বিকেলে তাদের এই জায়গা দৈহিক বিকাশে সহায়তা করবে। পাশাপাশি, নদীর পাশের শান্ত পরিবেশ উপভোগ করতে বসার জায়গাও রাখা হবে। তার জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে। সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তারক্ষীও রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী কাঞ্চন সাহা বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় হাঁটতে বের হই। কিন্তু বসার জায়গা পাই না। আগে রাস্তার ধারে থাকা প্রতীক্ষালয়গুলো ফাঁকা থাকত। সেখানেই কিছুক্ষণ বসতাম। কিন্তু এখন সেখানে প্রচুর ভিড় হয়। পুরসভার এমন উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল। সন্ধ্যাবেলা হেঁটে কংগ্রেস ঘাটে কিছুটা সময় বসে আড্ডা জমানো যাবে।’
বালুরঘাট পুরসভার প্রধান অশোক মিত্রের কথায়, ‘শহরে নানারকম সৌন্দর্যায়নে হাত লাগিয়েছি। বালুরঘাটের মানুষ যাতে আত্রেয়ীর ধারে বসে মনোরম পরিবেশ লাভ করেন। তার জন্য কংগ্রেস ঘাটের সৌন্দর্যায়নের কাজে নেমেছি। সেখানে ছোট উদ্যান ও বসার জায়গা তৈরি করা হবে। আলোর ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্মী নিযুক্ত করা হবে। সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তারক্ষীরও ব্যবস্থা থাকবে। কয়েক বছরের মধ্যেই এই পুরসভা অন্য মাত্রা লাভ করবে।’
আরও পড়ুন : দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সোশ্যাল অডিট, নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক