বর্ধমানঃ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সই জাল করে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ তুলে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক ব্যাঙ্ক এজেন্ট। ধৃতের নাম মহিদুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) কেতুগ্রামের মহেশপুর গ্রামে। বুধবার কাটোয়া থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। বিচারক ধৃতকে পাঁচ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতি মামলায় এই নিয়ে মোট চারজন গ্রেপ্তার হলেন। যা নিয়ে কাটোয়ার প্রশাসনিক মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,কাটোয়ার আলমপুরে ‘প্রতিভা সঞ্চয় দল’ নামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী রেখা ঘোষ চলতি বছরের ৪ জুলাই কাটোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রেখা ঘোষ পুলিশকে জানান, আলমপুর, বরমপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের অজান্তে তাদের সই জাল করে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ তুলে কেউ সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই অভিযোগ পেয়েই পুলিশ এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলির মোটিভেটর বকুল চক্রবর্তী এবং একটি গোষ্ঠীর দলনেত্রী চুমকি সাহাকে প্রথম গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় বরমপুর গ্রামের বাসিন্দা দুই ধৃতকে জেরা করে পুলিশ বিডিও অফিসের কর্মী আজিবুল শেখের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে। গত ৭ জুলাই পুলিশ তাকেও গ্রেপ্তার করে।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসার আরও জানতে পারেন, বকুল চক্রবর্তী ও চুমকি সাহা নামে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সই জাল করে ব্যাঙ্কে ঋণের জন্য আবেদন জমা পড়ে। ঋনের সেই আবেদনে সুপারিশ করেছিলেন ধৃত আজিবুল শেখ। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সহযোগিতায় মহিদুল ইসলাম গোষ্ঠীর ওইসব সদস্যদের অজ্ঞাতে ঋণের টাকা হাতিয়ে নিতে সাহায্য করেছিলেন।
এই মহিদুল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋন আদায়কারী এজেন্টের কাজ করেন। শুধু আবেদনপত্রের সই নয়, টাকা তোলার ফর্মেও সই জাল করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পারে। পুলিশের দাবি মহিদুলের বাড়ি থেকে ৭০ টি স্ট্যাম্প, ৫২ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ব্যাঙ্কের পাশবই, রেজুলেশন খাতা সহ বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে৷ ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতি মামলায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।