কিশনগঞ্জঃ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় গ্রাহকের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি নিলাম করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আদালতের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঋণ খেলাপির সম্পত্তি দখল নিতে আসে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এরপরই গ্রাহক গ্যাসের সিলিণ্ডারে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ণিয়া শহরের ঝান্ডা চকে। এই ঘটনার পর তাঁকে ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত সময় দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ৮০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বিহারের পূর্ণিয়া শহরের ঝান্ডা চকের এক বাসিন্দা অভিষেক কুমার। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত ব্যাংককে নির্দেশ দেয় ঋণ খেলাপির বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলাম করে বকেয়া টাকা আদায়ের। আদালতের সেই নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণখেলাপির সম্পত্তির দখল নিতে আসেন। এরপরই অভিষেক কুমার আত্মহত্যা করতে রান্নাঘরে গিয়ে গ্যাসের সিলিণ্ডারে আগুন লাগিয়ে দেন। এরপরই স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় নেভানো হয় আগুন।
ঋণখেলাপি অভিষেক কুমারের কথায়, প্রতি মাসেই ঋণের কিস্তির টাকা জমা করতেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি আর্থিক সমস্যার কারণে একটু অসুবিধায় ছিলেন। আর ব্যাংক বিনা নোটিশে বাড়ী নিলাম করে দিয়েছে। আর এইদিন বাড়ি ও অস্থাবর সম্পত্তির দখল নিতে আসে। সেইজন্যই উনি গ্যাস সিলিণ্ডারের আগুনে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রি ঘটনাস্থলে পৌছায় পূর্নিয়ার মহকুমা শাসক রাকেশ রমন ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পুস্কর কুমার। এই ঘটনার পর এদিন ব্যাংক ও প্রশাসনের কর্তারা অভিষেক বাবুর বাড়ী নিলাম বা দখল করতে পারে নি। তাঁকে বকেয়া ঋণ পরিশোধের জন্য অভিষেককে মহকুমা শাসক ২৩মে পর্যন্ত সময় দেন। অথবা আদালত থেকে স্থগিতাদেশের অর্ডার আনার। যদি ঋণখেলাপি এই দুইটি শর্ত সময়ের মধ্যে পূরণ করতে না পারেন তবে ব্যাংক ও প্রশাসন আইন অনুযায়ী বন্ধক রাখা সম্পত্তি ও বাড়ীর দখল নেবে বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক।