কলকাতা : বছর চারেক আগে নিউজিল্যান্ডে ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতাতে বল হাতে অবদান রেখেছিলেন ঈশান পোড়েল। এবার ভারতীয় দলকে ভরসা দিতে গায়ানা উড়ে যাচ্ছেন তাঁর কাকাতো ভাই তথা বঙ্গ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ হিসেবে পরিচিত অভিষেক পোড়েল। বিশ্বকাপে প্রথম থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন বাংলার আরেক ক্রিকেটার রবি কুমার।
বিশ্বকাপে বায়ো বাবলের মধ্যেই করোনার হানায় বিপর্যস্ত ভারতীয় দল। গ্রুপে আয়ারল্যান্ড ম্যাচের আগে অধিনায়ক যশ ধুল, সহ অধিনায়ক শেখ রশিদ সহ ৬ জন ক্রিকেটারের সংক্রমণ ধরা পড়ে। শুক্রবারের খবর অনুযায়ী, বাসু বৎস ছাড়া বাকিদের সংক্রমণ এখনও কমেনি। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপসর্গ যশের রয়েছে। আইরিশদের বিরুদ্ধে কোনওরকমে দল মাঠে নামানো হয়েছিল। সেই একই দল শনিবার উগান্ডার বিরুদ্ধে নামবে। নকআউট আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়া এবং সহজ প্রতিপক্ষ হওয়ায় এই ম্যাচ নিয়ে চাপ নেই ভারতের। তবে ২৯ জানুয়ারি কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব শুরু হবে।
নকআউট নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ বিসিসিআই। তাই দ্রুত দেশ থেকে পাঁচ ক্রিকেটারকে পাঠানো হচ্ছে। সেই তালিকায় উইকেটরক্ষক অভিষেক ছাড়াও রয়েছেন উদয় সাহারণ, ঋষিত রেড্ডি, অংশ গোঁসাই এবং পিএম সিং রাঠোর। বোর্ডের এক কর্তা বলেন, আমরা পাঁচজনকে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে পাঠাচ্ছি। ওদের ৬ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। আশা করছি, দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। সেক্ষেত্রে আমরা ২৯ জানুয়ারি কোয়ার্টার ফাইনালে নামব। ততদিনে সকলে সুস্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তা না হলেও কোয়ারান্টিন কাটিয়ে ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি থাকবেন অভিষেকরা।
তবে কীভাবে বায়ো বাবলের মধ্যে এভাবে সংক্রমণ ছড়াল, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আইসিসি সূত্রে দাবি, ভারতের সঙ্গে থাকা এক সাপোর্ট স্টাফ সংক্রমণের কেন্দ্র। কোয়ারান্টিন পর্বে পাঁচদিনে তিনবার কোভিড টেস্ট করা হয় যশদের। তৃতীয় টেস্টের রিপোর্ট আসে ৪৮ ঘণ্টা পর। ততক্ষণে সকলে অনুশীলনে নেমে পড়ায় এই বিপত্তি। তবে এই ঘটনার পর বায়ো বাবলে নিয়ম আরও কড়া ভাবে পালন করার ওপর নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইসিসি। এরমধ্যেই শনিবার উগান্ডার বিরুদ্ধে নামছে ভারত। বাসু সুস্থ হয়ে উঠলেও আগের ম্যাচের দলে বদল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
চলতি বছরে অনূর্ধ্ব-১৯ কোচবিহার ট্রফিতে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক বাংলাকে অপরাজিত রেখে নকআউটে নিয়ে গিয়েছেন। এলিট গ্রুপে সর্বোচ্চ স্কোরার ৫ ম্যাচে করেছেন ৭০৮ রান। সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে রনজি ট্রফির দলেও ডাক পেয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে যাওয়ার ডাক পেয়ে তিনি বলেন, এই ডাক প্রত্যাশিত ছিল না। তাই আমি বাড়তি উত্তেজিত। সিএবি প্রথম থেকেই আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। আশা করছি সেই বিশ্বাসের মান রাখতে পারব। কারও পৌষমাস, কারও সর্বনাশ প্রবাদের মতোই যশদের সংক্রমণের জেরে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগও চলে এসেছে তাঁর সামনে।