নাগরাকাটা: মৌমাছির আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নাগরাকাটায় (Nagrakata)। এবার ওই পতঙ্গের ভয়ে জবুথবু দশা সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ছাড়টন্ডু গ্রামের। ইতিমধ্যেই হুলবিদ্ধ হয়ে সেখানে একটি ছাগল মারা গিয়েছে। পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৬-৭ টি গোরু। স্থানীয় কয়েকজনও কামড় খেয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে সম্প্রতি ঘটনাগুলি ঘটে। গ্রামের একটি শিমুল গাছের মগডালে মৌমাছির চাকটি রয়েছে। বাজ পাখি সেখানে ঠোক্কর দেওয়ার কারণে শয়ে শয়ে মৌমাছি বেরিয়ে জমিতে চড়ে বেড়ানো একের পর এক গবাদি পশুকে কামড় দেওয়া শুরু করে। ওই প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করতে গিয়ে হুলবিদ্ধ হন এলাকার ৫-৬ জন বাসিন্দা। দুর্গা ওরাওঁ নামে এক বাসিন্দার ছাগল এদিন মারাও যায়। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবুও ছাগলটিকে বাঁচানো গেল না।‘ ভাবীসন ওরাওঁ নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার গোরুও মৌমাছির হামলার শিকার। কেউ এসে যদি চাকটিকে কেটে নিয়ে যেত তাহলে রক্ষা পেতাম।‘ বিফাই ওরাওঁ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘সবসময়ে ভয়ে ভয়ে থাকি। ফের যদি কোনও পাখি এসে চাকে ঠোক্কর মারে তাহলে যে কী হবে ঈশ্বরই জানেন।
মঙ্গলবার নাগরাকাটার পিএইচই-র জলাধারে চাক বেঁধে থাকা একের পর এক মৌমাছির হামলায় জখম হন ৪ সাফাইকর্মী। তাঁরা ওই জলাধারটি পরিষ্কার করতে উঠেছিলেন। হুলবিদ্ধ হওয়ার পর যন্ত্রণারত অবস্থাতেই আত্মরক্ষার্থে কোনওরকমে জলাধারের ভেতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। এরপর ৪ জনকে উদ্ধার করতে গিয়ে একইভাবে জখম হন মালবাজারের এক দমকল আধিকারিকও। তিনিও জলাধারে আত্মগোপন করেন। ৫ ঘণ্টা পর তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন এলাকার ৩ বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: Nagrakata | মৌমাছির আক্রমণ থেকে ৫ জনকে বাঁচিয়ে সংবর্ধিত ৩ প্রবীণ