ডিজিটাল ডেস্ক : আমন্ডকে অনেকেই কাঠবাদাম বলে চেনেন। এতে আছে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন ও ফাইবার। এক মুঠো আমন্ডে ১৬৫ গ্রাম ক্যালোরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩.৫ গ্রাম ফাইবার এবং ১৪ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে। আমন্ডে থাকা ফ্যাট শরীরের ক্ষতি করে না, বরং উপকারই করে, যা হার্টের জন্যও ভালো। এছাড়া
ফাইবারে ভরপুর : হার্টের সমস্যা কমানো থেকে শুরু করে ব্লাড সুগার কমানো, কোলেস্টেরল ঠিক রাখা ইত্যাদি কাজ করে ফাইবার। ২৩টি আমন্ড থেকে পাওয়া যায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার।
ক্যালসিয়াম বাড়ায় : ক্যালসিয়ামের প্রযোজন মেটাতে পারে প্রায় সব ধরনের বাদামই। তবে আমন্ডে সব থেকে বেশি ক্যালসিয়াম পাবেন। ১ আউন্সে ৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
খারাপ কোলেস্টেরল কমায় : আমন্ড আমাদের শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১/৩ কাপ আমন্ড খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে : অল্প কিছু আমন্ড খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে। তাই বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর আমন্ড শরীরের মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে, যা ওজন কমায়।
মস্তিষ্কের উন্নতিতে : রোজ ভেজানো আমন্ড খেলে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের কাজে লাগে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং শিশুদের বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে আমন্ড।
হৃদরোগ ঠেকাতে : গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাদাম খাওয়ার ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। এজন্য আমন্ড ও আখরোট দুটোই ভালো।
দুধের বিকল্প : যাঁরা গোরুর দুধ খেতে পারেন না, তাঁরা কাঠবাদামের দুধ খেয়ে দেখতে পারেন। কাঠবাদামের দুধে ল্যাকটোজ ও কোলেস্টেরল নেই। তাই দুধের খাবারে যে সমস্যাগুলো হয়, তা আমন্ডে হয় না।
ত্বকের যত্নে : আমন্ড অয়েলে থাকে ভিটামিন ও মিনারেলস। ত্বকের যত্নে দারুণ কাজ করে আমন্ড অয়েল।
আরও পড়ুন : কোমর ব্যথা দূর করতে কী করবেন