ডিজিটাল ডেস্ক : রূপচর্চায় এই সর্ষের তেলের বহুল প্রচলন রয়েছে। যা ম্যাজিকের মতেন কাজ করে। ত্বকের পরিচর্যায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই তেল? তাহলে জেনে নেওয়া যাক সর্ষের তেলের একগুচ্ছ গুণাগুণ।
১) বর্ষা এলেই চুলকানি, ঘায়ের সমস্যা বাড়ে। সর্ষের তেল অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর। তাই অ্যালার্জি ও র্যাশের হানা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
২) অনেকেরই সারা বছর ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থাকে। রাতে শোয়ার আগে ঠোঁটে দু’-তিন ফোঁটা সর্ষের তেল বুলিয়ে ঘুমোন। পাবেন এই সমস্যা থেকে রেহাই।
৩) রোদে পুড়ে ত্বকে দাগ পড়েছে? সমপরিমাণে সর্ষের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে প্রতি রাতে মিনিট পনেরো মুখে মালিশ করতে হবে। তার পর ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কয়েক দিন এই পন্থা মেনে চললে লক্ষ করবেন ত্বকের পুরনো জেল্লা ফিরে এসেছে।
৪) শীতকালে কমবেশি প্রত্যেকেরই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এছাড়াও ত্বক থেকে ছাল ওঠা এটা একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। বিশেষত, কোনও পার্টিতে যাবার সময়ও এই সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভীষণ কার্যকরী সর্ষের তেল।
৫) স্নানের আগে সর্ষের তেলের বহুল প্রচলন রয়েছে। স্নান করতে যাবার আগে সর্ষের তেল দিয়ে সারা বডি ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ রেখে স্নান করতে যান কমবেশি প্রত্যেকেই। শুকিয়ে যাওয়া ত্বকের জন্য সর্ষের তেল ভীষণ উপকারী। সর্ষের তেলের সঙ্গে বেসন, টকদই, লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে সারা গায়ে মাখলে ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসবে।
৬) সর্ষের তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স। ফলে এটি বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।