মেখলিগঞ্জ: সাধারণত দুর্গাপুজোই বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব। পুজোয় গ্রামগঞ্জের যেসব মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করেন তাদের বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। কিন্তু মেখলিগঞ্জ ব্লকের নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চিত্রটা একটু অন্যরকম। এখানকার মানুষ দুর্গাপুজোয় নয়, ভিনরাজ্যে কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন ভান্ডানি পুজোয়। চলতি বছর এই পুজো ১৯৫ বছরে পড়ল। কিন্তু এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান যে এই পুজো প্রায় ৪০০ বছর পুরোনো। প্রথমে এই পুজো তিস্তা নদীর ধারে হলেও কালে তা স্থানান্তরিত হয় নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায়। বর্তমানে সেখানেই গড়ে উঠেছে নতুন মন্দির। দুর্গাপুজোর দশমীর দিন দেবী বনদুর্গার ষষ্ঠীপুজো অনুষ্ঠিত হয়।
এই পুজোকে কেন্দ্র করেই ওই এলাকায় আয়োজন করা হয় মেলার। এলাকাবাসীর পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান এই পুজোয়। সাধারণত এই পুজোয় অষ্টমী ও নবমী তিথিতে সন্ধ্যা থেকে মানুষের ঢল নামে মেলায়। এই পুজোয় এখনও বলি প্রথা চালু রয়েছে। বুধবার ভান্ডানি পুজোর উদ্বোধন করেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী।পুজো কমিটির সম্পাদক অজিত বর্মন বলেন, ‘এই পুজো একটি প্রাচীন পুজো। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয় স্বজনরা এই সময় উপস্থিত হন।’