নাগরাকাটা: বিনয় তামাংকে মেনে নেওযার কোন প্রশ্ন নেই বলে এদিন ফের একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিমল শিবির। সোমবার চাপরামারির জঙ্গল ঘেরা শিপচু-র বলিদান দিবসের অনুষ্ঠানে এসে একথা জানিয়েছেন দিয়েছেন বিমল গুরুং। গুরুং জানান তাঁদের জোট রয়েছে একমাত্র তৃণমূলের সঙ্গেই। অন্যদিকে বিনয়রাও মমতার সঙ্গেই রয়েছেন। সেক্ষেত্রে বিমলের অবস্থানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যুযুধান দুই শিবিরের সঙ্গে তণমূল কংগ্রেসের সম্ভাব্য আসন রফার বিষযটি যে ক্রমশই মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই ধারনা রাজনৈতিক মহলের।।
এদিন শিবচুতে মোর্চার দশম বার্ষিক বলিদান দিবসের অনুষ্ঠানে ৩ বছর পর পা রাখেন গুরুং। তাঁর নের্তত্বেই ২০১১ সালের বাম আমলের শেষ লগ্নে ডুযার্স চলো কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে ৮ ফেব্রুযারি পুলিশ ও মোর্চা সমর্থকদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায। নিহত হন ৩ মোর্চা সমর্থক। জখম হন একাধিক পুলিশ কর্মী। ওই ঘটনাকে স্মরণে রেখে ফি বছর শিপচুর ফুটবল মাঠে মোর্চার পক্ষ থেকে দিনটিকে বলিদান দিবস হিসেবে পালন করা হয। বিমলের অন্তর্ধানের পর ওই অনুষ্ঠানটি বিনয তামাং-রা করছিলেন। এবারে অবশ্য সেখানে বিনয় শিবিরের কাউকে দেখা যায়নি।।
ভাষনে বিমল গুরুং স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে শুরু থেকেই ছিলেন চূড়ান্ত আক্রমনাত্মক। নাম না করে বিনয তামাংকে তুলোধোনা করেন তিনি। পাশাপাশি ভাষনের ছত্রে ছত্রে এক হাত নেন এককালের শরিক বিজেপিকেও। এমনকি তাঁদের সঙ্গে ছলনা ও বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও রেযাত করেন নি তিনি। পরে বিমল গুরুং বলেন, ‘আমাদের জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে নয়। নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ হযয় যাওয়ার পর কোন আসনে কে প্রার্থী দেবে তা ঠিক হবে। আমাদের প্রতীকেও লড়াই করবো।’ তণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘বিমল গুরুং বা বিনয় তামাংয়ের কি সম্পর্ক সেটা একান্তভাবে ওঁদের নিজস্ব বিষয়। বিজেপি বিরোধী সমস্ত মানুষ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক হযে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযকে জেতানোর শপথ নিয়েছেন। কে কোথায প্রার্থী হবে সেটাও দলনেত্রী ঠিক করবেন।’ এদিন শিপচুর সভায উপস্থিত ছিলেন তণমূল কংগ্রেসের নাগরাকাটা ব্লক কমিটির সভাপতি মনোজ মুন্ডা, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গণেশ ওরাওঁ, কুমারগ্রামের তণমূল নেতা লুইস কুজুর প্রমুখ। বিমল শিবিরের পক্ষ ছিলেন রোশন গিরি, লোপসাং লামা, রমেশ আলে ও আর পি ওয়াইবা।