কলকাতা: ‘কল্পতরু’ ইস্তাহার প্রকাশ করলেও প্রার্থী প্রকাশে কিছুটা পিছিয়ে গেল পদ্ম শিবির। ইতিমধ্যেই পাঁচ সাংসদকে বিধানসভা যুদ্ধে নামিয়েছে বিজেপি। ৯ টি আসনে এখনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা বাকি রয়েছে। ময়দানে এবার ষষ্ঠ সাংসদকে নামাতে চেয়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। শান্তনু ঠাকুরকেও ভোটে নামাতে চাওয়া হয়েছিল। তবে সূত্রের খবর, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর শায়ের সেই ইচ্ছায় সাড়া দেননি। এমনকি, খোদ অমিত শা তাঁর এই বাসনার কথা জানালেও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি শান্তনু। তার বদলে তিনি মতুয়াদের হাতে টিকিট দেখতে চেয়েছেন।
হাতে আর মাত্র চারদিন সময়। তারপরই প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা বিজেপি প্রকাশ করেনি। সেই বিষয়ে আলোচনা করতেই রবিবার রাতে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে বৈঠকে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৈঠকে বাকি আসনগুলির প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়।
এই বৈঠকেই বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে নির্বাচনে লড়ার কথা বলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি বলেই খবর সূত্রের। বরং প্রার্থিতালিকাতে মতুয়ারা ব্রাত্য থাকায় যে ক্ষোভ মতুয়া সমাজে পুঞ্জীভূত হচ্ছে তা নিরসনের চেষ্টা করেন শান্তনু। তিনি দাবি করেন, তাঁকে টিকিট না দিয়ে কমপক্ষে তিনটি কেন্দ্রে মতুয়াদের প্রার্থী করা হোক।
এদিকে, পাহাড়েরও রাজনৈতিক উত্তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে জোটে রয়েছে জিএনএলএফ। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং এই তিনটি কেন্দ্রে থেকেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু বিজেপি তাতে রাজি হয়নি। তবে জিএনএলএফকে একটি বা দুটি আসন ছাড়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন সকালে বিজেপি তিনটি কেন্দ্রেই দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। আর এই ঘোষণার পরই পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। জিএনএলএফও এককভাবে প্রার্থী দেবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।