কোচবিহার: এই প্রথম এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজের জন্য একটি মরদেহ তুলে দেওয়া হল। সেই দেহটি এমবিবিএস পড়ুয়াদের পড়াশোনার কাজে লাগবে। তিন বছর থেকে এমজেএন মেডিকেলে এমবিবিএসর পড়াশোনা চলছে। প্রায় সাড়ে তিনশো পড়ুয়া রয়েছেন। এতদিন তাঁদের পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হত। এই প্রথম কোনও দেহ সরাসরি এখানে দেওয়া হল।
আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা শুক্লা নাহা (৮২) বেশ কিছুদিন থেকে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে তিনি প্রয়াত হন। এরপরই তাঁর পরিবার এমজেএন মেডিকেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় মেডিকেল কলেজে। অফিশিয়াল কাজকর্ম শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। শুক্লাদেবীর পুত্রবধূ কস্তুরীগৌতম মহলানবীশ জানিয়েছেন, মানুষকে বাঁচাতে চিকিৎসার প্রয়োজন। আবার চিকিৎসার কাজে মানুষের দেহ প্রয়োজন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হল।
মেডিকেলের এনাটমি বিভাগের প্রধান শান্তনু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মরদেহ ছাড়া চিকিৎসাবিজ্ঞানের পড়াশোনা পুরোপুরি সম্ভব নয়। এদিনের এই পদক্ষেপে ছাত্রছাত্রীরা অনেক উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন : ঘরে ঢুকে প্রেমিকার বাবাকে কুপিয়ে খুন করল প্রেমিকের বন্ধু!