বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের অভিযানে দেদার উদ্ধার হচ্ছে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র। তা নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ করলেও অভিযানে বিরাম টানতে নারাজ পুলিশ। শনিবারের পর রবিবারও জেলায় অব্যাহত থাকলো বোমা উদ্ধারের ঘটনা। এমনকি বোমা ফেটে একজনের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ বোমা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তালিত রেল স্টেশন সংলগ্ন বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কের পাশের একটি মাঠের মধ্যে দুটি জারে বোমা রাখা ছিল। শনিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশের একটি দল বোমাটি উদ্ধার করে। ঘটনার ঠিক আগের দিন রাতে বর্ধমান থানার পুলিশ সরাইটিকর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়ার এক ব্যক্তির বাড়িতে আভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তির বাড়ির বাথরুমের ছাদে রাখা থাকা একটি ব্যাগ থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করে। বাড়িতে বোমা মজুতের অভিযোগে পুলিশ ওই বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে তালিতে বোমা উদ্ধারের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে রবিবার সকালে শহর বর্ধমান বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায় বোমা ফেটে আহত হন এক ব্যক্তি। আহত ব্যক্তির নাম অসীম বিশ্বাস। এলাকার বাসিন্দা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অসীম বিশ্বাস যখন গোয়াল ঘরের আশপাশের ঝোপ জঙ্গল পরিস্কার করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই সেখানে একটি বোমা ফাটে। ভাতার থানার পুলিশ পিস্তল ও ৪ রাউণ্ড কার্তুজ সহ এক দুস্কৃতীকে ধরে ফেলে। ধৃতের নাম উত্তম দাস। তাঁর বাড়ি ভাতার থানার কুবাজপুর গ্রামে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায় বোমা ফেটে এক ব্যক্তির আহত হওয়া ও তালিতে বোমা উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বর্ধমানের বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকে প্রতিদিন বোম, গুলি, বন্দুক উদ্ধার করছে পুলিশ। এর থেকে এটা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে এতদিন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করেছে।’