ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির বছরে একবার বেড়াতে যাওয়া চাই চাই। এই করতে গিয়ে পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল সবই প্রায় ঘোরা। তাই নতুন কোনো আনকোরা জায়গায় যাতে চান, চিন্তা নেই আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য রইলো এমন কিছু জায়গার সন্ধান। এই জায়গাগুলি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে সিনেমার শুটিং লোকেশন হওয়ার কারণে।
প্যানগং লেক, লাদাখ – সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্যানগং লেক বেশ বিখ্যাত একটি জায়গা হয়ে উঠেছে। বলিউডের কিছু সিনেমার কারণে এমনকি ভ্রমণপিপাসু নন এমন লোকজনও ট্রাভেল ব্যাগ গুছিয়ে রওনা হয়ে যান লেকটি ভ্রমণ করে এর সৌন্দর্যকে মূল্যায়ন করতে।যদি আপনি ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির শেষ দৃশ্যটি কিংবা ‘যাব তাক হে জান’ ছবিতে শাহরুখ খান যেখানে আনুশকা শর্মাকে বাঁচিয়েছিলেন সে স্থান নিজ চোখে দেখতে চান, তাহলে প্যানগং লেক ভ্রমণ তালিকার ওপরের দিকেই থাকা উচিত।
রোথাং পাস, হিমাচল প্রদেশ – ‘হাইওয়ে’, ‘জাব উই মেট’, ‘দেব ডি’র মতো জনপ্রিয় বলিউড সিনেমায় রোথাং পাসের নয়নাভিরাম দৃশ্য সেলুলয়েডে চিত্রায়িত হয়েছে আর এর মাধ্যমে তুষারাবৃত জায়গাটি পেয়েছে অমরত্ব। এই ছবিগুলো অনেক ভ্রমণপ্রেমীকেই রোথাং পাস ভ্রমণে ও এখানকার অনুপম সৌন্দর্যের রস আস্বাদনে আগ্রহী করেছে।
উদয়পুর প্রাসাদ, রাজস্থান – চলচ্চিত্র নির্মাতারা ছবির শুটিংয়ের জন্য সব সময়ই এমন তরতাজা লোকেশন খোঁজেন যা একটি ছবির সিনেমাটিকভাব বাড়াবে। আর এটি খুব আগের কথা নয় যে, এসব নির্মাতা উদয়পুরের সৌন্দর্যের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছেন যে প্রাসাদ আভিজাত্যের সঙ্গে প্রতিটি দৃশ্যে একটি রাজকীয়ভাব তুলে ধরে। ‘রাম লীলা’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’র মতো চলচ্চিত্রে ফুটে উঠেছে উদয়পুরের ঐতিহ্যবাহী রাজকীয় স্থাপনাসমূহ। যার মধ্যে বিখ্যাত উদয়পুর প্রাসাদও ছিলো।
কলকাতা – বলিউড ইন্ড্রাস্ট্রি কিন্তু কলকাতার প্রভাবদায়ী ভাবটি কখনো এড়িয়ে যেতে পারেনি। এখানকার কিছু জায়গায় পর্যটনসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড সাম্প্রতিককালে বেড়েছে। ‘কাহানি’ ও ‘ভিকি ডোনার’ ছবিতে দুর্গাপূজা উৎসব চমৎকারভাবে চিত্রায়িত হয়েছে। ‘বারফি’ ছবিতে ট্রামে চড়ার দৃশ্য আমাদের হৃদয় জয় করেছে। যখনই কলকাতায় কোনো সিনেমার শুটিং হয়েছে তখনই ‘সিটি অব জয়’ পরিণত হয়েছে একটি কর্মচঞ্চল জায়গায়।
মুম্বাই – ‘সিটি অব ড্রিমস’ বা স্বপ্নের শহর নামে পরিচিত মুম্বাই জায়গা পেয়েছে অনেক ছবিতেই। এখনো এটি মনে হয় যে, বলিউড এই শহরটির যথেষ্ট জায়গা পায়নি। ‘তালাশ’, ‘দ্য আনসার লাইস উইথিন’, ‘ধুম’, ‘ওয়েক আপ সিড’, ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ প্রভৃতি ছাড়াও আরও অনেক ছবিই মুম্বাইতে চিত্রায়িত হয়েছে। এতো বেশি ছবির শুটিং এখানে হয়েছে যে, মুম্বাইতে গিয়ে না থাকলেও জায়গাটিকে আপনার কাছে নিজের ঘরবাড়ির মতোই চেনা মনে হবে।
মুন্নার, কেরল – প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শীতল পরিবেশের কারণে মুন্নার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। আপনি কি জানেন, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ও ‘লাইফ অব পাই’ এর মতো আলোচিত ছবির কিছু অংশ মুন্নারে চিত্রায়িত হয়েছিলো? যদি না জেনে থাকেন তাহলে ছবি দুটি আবার দেখুন। আর আপনি যদি ভেবে থাকেন যে, কেরল শুধু তার শান্ত জলাধারগুলোর জন্যই পরিচিত তাহলে বলিউড আপনাকে একটি বিকল্প দেখিয়ে দেবে। চেষ্টা করুন ও আশাকরি আপনি হতাশ হবেন না।