উত্তরবঙ্গ ব্যুরো: উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় সাড়ম্বরে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (International Mother Language Day)। বুধবার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় এই উপলক্ষ্যে মাথাভাঙ্গা নজরুল সদনে আয়োজিত হয় এক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন মাথাভাঙ্গা মহকুমা শাসক নভনীত মিত্তাল, মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতিক আধিকারিক অনির্বাণ সাই, প্রাক্তন মন্ত্রী হিতেন বর্মন প্রমুখ। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মহকুমা শাসক। মাতৃভাষার তাৎপর্য বিষয়ক আলোচনাচক্রের (Discussion) আয়োজনও করা হয়। বিভিন্ন স্থানের সংগীত শিল্পীরা এদিনের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ‘আমরা বাঙালি’র পক্ষ থেকেও পচাগড় মোড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়।
রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি ও জটেশ্বর লীলাবতী মহাবিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও জাতীয় স্তরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল জটেশ্বর লীলাবতী মহাবিদ্যালয়ে। বৈরাতি নৃত্য ও ভাওয়াইয়া গানের মধ্য দিয়ে শুভারম্ভ হয় অনুষ্ঠানের। উপস্থিত অতিথিদের পান, সুপারি, হলদিয়া গামছা ও ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তৃতা দেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুশান্ত কুমার রাউল। ভাষা দিবসের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তথা সেমিনারের (Seminar) আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নারায়ণ চন্দ্র বসুনিয়া।
মেটেলি ব্লকেও মহা সমারোহে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এখানেও ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এই উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভাও।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে গাজোলেও পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় অন্নদাশঙ্কর সদনে এই অনুষ্ঠানটি পালিত হয়। মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে রংবেরঙের আলপনায় সাজিয়ে তোলা হয়েছিল অন্নদাশঙ্কর সদন ক্যাম্পাস। সেখানে অস্থায়ীভাবে তৈরি শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন সকলে। এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। গোটা প্রেক্ষাগৃহ মুখরিত হয়ে ওঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানে।
বুধবার ঘোকসাডাঙ্গা বীরেন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে শোভাযাত্রা, শহীদ বেদী তে মাল্যদান, আলোচনা সভা সহ নানা অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়। উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহদেব রায়, ড. সুমিতা সাহা সহ অন্যান্যরা।