নয়াদিল্লি: লাদাখ ইশ্যু ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলেছে। অর্থনীতিতে এই টানাপোড়েনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে চলেছে। সূত্রের খবর, সোমবার চায়না স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে অর্থনীতিতে চিনা প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সেনাকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ভারত-চিন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে কেন্দ্রকে অবগত করার দায়িত্বে রয়েছে চায়না স্টাডি গ্রুপ। লাদাখে ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু আর্থিক পদক্ষেপও করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি চিনা অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
চায়না স্টাডি গ্রুপের সাম্প্রতিক বৈঠক সম্পর্কে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, সীমান্ত জট কাটাতে অর্থনীতিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে মোদি সরকার। এদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রকল্পগুলিতে চিনা বিনিয়োগের প্রেক্ষাপট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাদাখ সংঘাতের পর ভারতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চিন বিরোধী মনোভাব তীব্র হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংস্থাগুলিতে চিনের বিনিয়োগ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি আইসিআইসিআই ব্যাংকে ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (পিপলস ব্যাংক অফ চায়না)। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতে ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বহুস্তরীয় নজরদারি রয়েছে। কোনও ব্যাংকের ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার অধিগ্রহণ করতে হলে রিজার্ভ ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন। আইসিআইসিআই-তে চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিনিয়োগ খুবই নগণ্য। এধরনের বিনিয়োগে ভারতীয় ব্যাংক ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।