কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে এসেছে। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব অনুজ শর্মার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছোয়। সাত সদস্যের এই দল দুভাগে ভাগ হয়ে শুক্রবার আকাশপথে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবে বলে জানা গিয়েছে। শনিবারের কর্মসূচি অবশ্য জানা যায়নি। রবিবার সকালে দলটির দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা। ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সহ বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ওই দলের সদস্যরা।
তার ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। ২০ মে আমপানে বাংলা লন্ডভন্ড হওয়ার একদিন পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে আকাশপথে দুই ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তার পরপরই প্রধানমন্ত্রী রাজ্যকে ১০০০ কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। রাজ্য সরকারের অ্যাকাউন্টে তা পাঠিয়েও দেওয়া হয়। কথা ছিল, কেন্দ্রীয দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখার পর বাকি সাহায্যের কথা বিবেচনা করা হবে। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে এসেছে।
কেন্দ্রীয় দলের নেতৃত্বে আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব অনুজ শর্মা। এছাড়া ওই দলে রয়েছেন কৃষিমন্ত্রকের অধিকর্তা নরেন্দ্র কুমার, মৎস দপ্তরের সহকারী কমিশনার আরপি দুবে, অর্থ মন্ত্রকের অধিকর্তা এসসি মিনা প্রমুখ। দলটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা, গোসাবা ও সন্দেশখালি এবং উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ যাবে। তারপর রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হওযার কথা। রাজ্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী আলাদা আর্থিক প্যাকেজ দাবি করতে পারেন বলে কোনও কোনও মহল মনে করছে।
Full advantage be taken of visit (June 4-6) of Inter Ministerial Central Team #AMPHAN.
Imperative for State @MamataOfficial to work in harmony @PMOIndia for welfare of the State
Left education issues for CM as we are facing tough challenges- hopeful of sagacious response by CM.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 4, 2020
এই মুহূর্তে রাজ্যের যা আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তা ছাড়া আমপানের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কোনওরকম সংঘাতে যেতে চান না। বুধবার তিনি নবান্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। সাংবাদিকরা রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুললেও মমতা তা এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির সময়ে রাজনীতি হবে। কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যের কোনও ক্ষতি যাতে না হয়, তাও দেখা হবে।‘
আমফান সংক্রান্ত আন্ত্র-মন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলের সফরটিকে (জুন 4-6) সম্পূর্ণরূপে সদ্ব্যবহার করা প্রয়োজন।@MamataOfficial রাজ্যর সর্বাঙ্গীন কল্যাণের স্বার্থে @PMOIndia কেন্দ্রের সাথে সমন্বয়সাধন করেই কাজ করতে হবে।(1/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 4, 2020
মুখ্যমন্ত্রীর এই ইতিবাচক সুরের প্রমাণ মিলেছে সংঘাতের আবহেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপে। রাজ্যপাল নিজেও এদিন টুইটে মমতার উদ্দেশে বলেন, ‘আমপান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় দলের সফরটিকে সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগানো উচিত। রাজ্যের কল্যাণের স্বার্থে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করতে হবে।‘