দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ : রায়গঞ্জ শহরে এলপিজির দোকানগুলিতে গ্রাহকরা সামাজিক দূরত্ব না মেনে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। উজ্জ্বলা গ্যাস বিনামূল্যে দেওয়া শুরু হতেই গ্যাস পেতে প্রতিদিন লম্বা লাইন পড়ছে। পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি। তাই এবার গ্রাহকদের সচেতন করতে ময়দানে নামলেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস।
দেবীনগর এলাকা পরিদর্শনে বেড়িয়ে চেয়ারম্যান দেখেন, রান্নার গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটার দোকানের সামনে গ্রাহকেরা হুড়োহুড়ি করছেন। সামাজিক দূরত্ব না মেনে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি গ্রাহকদের দেড় মিটার দূরত্বে দাঁড় করান এবং সকলে যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে চলেন, সেজন্য জোড়হাত করে আবেদন জানান। রায়গঞ্জের আরো দুটি ডিস্টিবিউটারের দোকানের সামনে গিয়েও তিনি গ্রাহকদের একইভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন জানান।
চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ গোটা বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার নিয়েছে। এই রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। একমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেই রোগ কম ছড়াবে। তাই মানুষকে বুঝতে হবে।’ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পশ্চিম বীরনগরের বাসিন্দা কার্তিক সাহা বলেন, ‘তিন মাসে তিনটি সিলিন্ডার বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। এই মাসেরটা এই মাসেই নিতে হবে। গ্যাস শেষ হয়ে যাবে এমন আশঙ্কার জন্যই অনেকে হুড়োহুড়ি করছেন। কবে গ্যাসের জন্য পাসবুকে টাকা ঢুকবে তা পরিস্কারভাবে জানানো হচ্ছে না। সেজন্য সবাই ভিড় করছেন।’
গ্যাস ডিস্টিবিউটার মুরারি প্রামাণিক বলেন, ‘অধিকাংশ গ্রাহকের মোবাইল নম্বর সঠিক নেই। সেকারনে টাকা ঢুকছে না। নম্বর সংশোধনের জন্য ভিড় করছেন তাঁরা। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে লাইন ঠিক করছি। পুলিশকে জানানো হলেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। চেয়ারম্যান এসে গ্রাহকদের সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড় করিয়েছেন।’