কলকাতা: ৬২৫ বছরের পুরোনো জগন্নাথ তীর্থ হুগলির মাহেশে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকেই শুরু হল চন্দনযাত্রা। ৪২ দিন ধরে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা সহ বাকি দেবতাদের চন্দন লেপনের কাজ চলবে। ৪২ দিন পর হবে স্নানযাত্রা। এর ১৮ দিন পর রথযাত্রা উৎসব। ফলে এদিন থেকেই কার্যত রথযাত্রা উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল মাহেশে।
করোনার কারণে গত দু’বছর বন্ধ ছিল হুগলির মাহেশের রথযাত্রা। এবার সেই মাহেশে মহা ধুমধামে রথযাত্রা হবে। তার আগেই পালন করা হয় স্নানযাত্রা ও চন্দনযাত্রা। এদিন প্রথমে বলরাম, তারপর সুভদ্রা ও জগন্নাথদেবকে চন্দন লেপন করা হয়। রান্না হয় ভোগ। কীর্তনের সঙ্গে প্রদীপ জ্বালিয়ে চলে আরতি। মাহেশের মন্দির চত্বরে সকাল থেকেই ছিল ভক্তদের ভিড়। দু’বছর পর রথযাত্রার সূচনার সাক্ষী থাকতে অনেকেই এসেছিলেন মাহেশে। মাহেশ জগন্নাথজিউ ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান সেবায়েত সৌমেন অধিকারী জানান, এদিন থেকেই চন্দনযাত্রার সূচনা হয়ে গিয়েছে।
প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, প্রখর তাপে জগন্নাথদেবের মাথা ধরে যাওয়ায় রাজা ইন্দ্রচন্দ্রকে মহাপ্রভু জগন্নাথদেব নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর সর্বাঙ্গে চন্দন লেপন করতে। সেই থেকে বিগ্রহে চন্দন লেপনের সূচনা হয়। স্নানযাত্রার দিন সেই চন্দন দুধ, গঙ্গা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হবে। স্নানের পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসবে। তখন মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ রাখা হবে। শুয়ে থাকবেন জগন্নাথদেব। জ্বর থেকে সেরে উঠে রথে চেপে জগন্নাথদেব মাসির বাড়ি যাবেন। সেই দিনই রথযাত্রা। এবার রথযাত্রা উত্সব পড়েছে ১ জুলাই।
আরও পড়ুন : সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৫