প্রণব সূত্রধর, আলিপুরদুয়ার : দেশজুড়ে লকডাউনে দোকানপাট থেকে শুরু করে যান চলাচল বন্ধ। ফলে জীবিকাহীন হয়ে পড়ছেন অনেক মানুষ। এই পরিস্থিতিতে বাঁধা জীবিকা বদলে আয়ের নতুন পথ খুঁজে নিয়েছেন আলিপুরদুয়ার শহরের কিছু মানুষ। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অটোচালক, ছোট দোকানদার, সাইকেল মেকানিক, ফুচকাওয়ালা সহ অনেকেই। এখন তাঁরা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করছেন। এদের বেশির ভাগ সবজি, মাছ ও মাংসের দোকান দিয়েছেন। প্রশাসন নির্দিষ্ট সময় দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নতুন জীবিকার মাধ্যমে আয়ের পথ খুঁজে নিয়েছেন তাঁরা।
এদের কয়েজন বলেন, লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ। তাই সংসার চালাতে এই বিকল্প জীবিকা বেছে নিতে হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা ব্যবসা করেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। বাইরের ব্যবসায়ীরা দূর থেকে আসতে পারছেন না, বেশিরভাগ সবজি ও মাছ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রেখেছেন। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দ্রব্যগুলির চাহিদা রয়েছে। সবজি ও মাছ আলিপুরদুয়ার বড়বাজার এলাকায় সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদাও রয়েছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা করায় সাধারণ মানুষের সমস্যা কমেছে। নতুন ব্যবসা করে উপার্জনও হচ্ছে। স্থানীয় মানুষকে সবজি বা মাছের মতো জিনিসগুলোর জন্য দূরে যেতে হচ্ছে না। আমরা পাড়ায় দোকান দিয়েছি। দোকানের সংখ্যা বেশি থাকায় ভিড় কম হচ্ছে। রাজেশ পাসোয়ান নামে একজন ফুচকা বিক্রেতা বলেন, লকডাউনে স্কুল-কলেজ বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে মাস্ক বিক্রি করছি। কয়েক ঘণ্টার জন্য মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। স্টেশনারি দোকানদার বাপি দাশ বলেন, দোকান বন্ধ। তাই সবজি ও মাস্ক বিক্রি করছি। বিশ্বজিৎ দত্ত নামে এক অটোচালক বলেন, দেশে লকডাউন চলছে। তাই নতুন জীবিকা হিসেবে মাছ বিক্রি করছি। এলাকায় কয়েকজন মাত্র দোকানদার রয়েছেন। তেমন সমস্যা হচ্ছে না। সাইকেল মেকানিক স্বপন সরকার বলেন, যতদিন দোকান খুলতে পারছি না ততদিন সবজি বিক্রি করব। প্রশাসনের নির্দেশমতো দূরত্ব বজায় রেখে দোকান দিয়েছি। ভালো বিক্রি হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার টাউন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, লকডাউনে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনিক নির্দেশিকা মেনে দূরত্ব বজায় রেখে কেউ এই সময়ে বিকল্প কাজ করে জীবিকানির্বাহ করছেন, এটা ভালো উদ্যোগ।