চ্যাংরাবান্ধা: গতিপথ পরিবর্তনের কারণে অনেকটাই বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে গেছে ধরলা নদী। এই অবস্থায় ছট পুজোর জন্য খাল কেটে ঘাটের দিকে জল নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হল কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে। এ কারণে এদিন ছটপুজোর জন্য সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পাশাপাশি বিএসএফের কড়া নজরদারি চলছে। যদিও স্থানীয়রা এখানে দ্রুত স্থায়ী ছটপুজোর ঘাট তৈরির দাবি করেছেন। তাদের বক্তব্য, স্থায়ী ঘাট না থাকায় পুণ্যার্থীদের ঘাটে এসে পুজো করতে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। পাশাপাশি এই এলাকায় নদী ভাঙনও অব্যাহত রয়েছে। তাই দ্রুত সম্পূর্ণ অংশে বাঁধ নির্মাণ করা না হলে একদিন পুরো ঘাটটিই নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কা করেছেন।
এদিকে বিএসএফের কড়া নজরদারির মধ্যেও ছটপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের মানুষজন। চ্যাংরাবান্ধা ছটপুজো কমিটির তরফে কানাই রবিদাস বলেন, ছট পুজোর ঘাটটি বাংলাদেশ সীমান্ত ঘিরে রয়েছে। তাই প্রতিবছরই ছট পুজো উপলক্ষে সীমান্তে পুলিশ ও বিএসফের তরফে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এবারও প্রশাসনের তরফে সব ধরণের সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার ছটপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। স্থায়ী ছটঘাট তৈরির জন্য ফের তারা বিভিন্ন মহলের কাছে অনুরোধ জানাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।